Chemical Waste

দুর্গাপুরে গ্যাস সংস্থার বিষাক্ত জলে পড়ে মৃত শ্রমিক, বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল আরও এক জনের

মঙ্গলবার সকালে কারখানার ২৪২ নম্বর পিটে কাজে যোগ দেন শ্রমিকেরা। হঠাৎই রাসায়নিক বর্জ্য জমা জলে পড়ে যান আকাশ। তাঁকে তুলতে গিয়ে অনুপ ঝাঁপ দেন ওই পুকুরে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪১
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অসুস্থ যুবককে।

হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অসুস্থ যুবককে। — নিজস্ব চিত্র।

রাসায়নিক বর্জ্য জমা পুকুরে পড়ে মারা গেলেন দুই যুবক। গুরুতর অসুস্থ আরও তিন জন। পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর থানা এলাকার পারুলিয়ার কাছে একটি বেসরকারি গ্যাস উত্তোলক সংস্থা ওই পুকুরে রাসায়নিক বর্জ্য জমা করে। সেখানে পড়ে গিয়েই বিপত্তি। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব এলাকাবাসী।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতেরা হলেন আকাশ বাদ্যকর এবং অনুপ সরকার। ২৫ বছরের আকাশ ঠিকা শ্রমিক। তিনি কাঁকসার জামবনের বাসিন্দা। ২৬ বছরের অনুপ অস্থায়ী শ্রমিক। তিনি মালদহের বাসিন্দা। আশঙ্কাজনক আরও তিন যুবককে প্রথমে দুর্গাপুরের শোভাপুর সংলগ্ন বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁদের বিধাননগরের এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে কারখানার ২৪২ নম্বর পিটে কাজে যোগ দেন শ্রমিকেরা। হঠাৎই রাসায়নিক বর্জ্য জমে থাকা জলে পড়ে যান আকাশ। তাঁকে তুলতে গিয়ে অনুপ ঝাঁপ দেন ওই পুকুরে। তাঁদের দড়ি দিয়ে টেনে তুলতে গিয়ে আরও তিন জন রাসায়নিক বর্জ্যের গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে আকাশ এবং অনুপকে বিধাননগরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

অসুস্থ দুই যুবক আবু তাহের শেখ এবং রূপকান্ত সূত্রধর বিধাননগরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আরও এক জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। জামবনের বাসিন্দা সন্তু রায় বলেন, ‘‘গ্যাস উত্তোলক সংস্থার গাফিলতির জেরেই প্রাণ গেল দুই শ্রমিকের। আমরা কর্তৃপক্ষের শাস্তির দাবি করছি। এর আগেও একাধিক বার সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে শ্রমিকদের। ফের মৃত্যুর মুখে পড়তে হল দুই শ্রমিককে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তার জবাব দিতে হবে সংস্থার আধিকারিকদের।’’

Advertisement
আরও পড়ুন