—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
৮০ টাকা কেজি দরে পৌঁছেছিল পেঁয়াজ। আলু ছিল চল্লিশের আশপাশে। কেন এত দাম, টাস্ক ফোর্স কী করছে, সেই প্রশ্ন তোলেন ক্রেতারা। সোমবার রাজ্য কৃষি বিপণন দফতর ও রাজ্য টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা দাবি করেন, পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। আলুর দাম নিয়েও চিন্তার কিছু নেই।
তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আলু ব্যবসায়ীরা ২৬ টাকা কেজি দরে হিমঘর থেকে আলু বিক্রির আশ্বাস দিলেও গত তিন সপ্তাহ ধরে হুগলি ও পূর্ব বর্ধমানের হিমঘর থেকে ২৭, সাড়ে ২৭ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি হচ্ছে। রাজ্য টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, “কোন কোন হিমঘর থেকে বেশি দামে আলু বিক্রি হচ্ছে তা কৃষি বিপণন দফতরকে জানানো হয়েছে। আলু ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটা চক্র গড়ে উঠেছে। কৃষি বিপণন দফতর ব্যবসায়ী সংগঠনকে সতর্কও করে দিয়েছে।”
কৃষি বিপণন দফতরের দাবি, কলকাতার বাইরে বেশি দামে আলু বিক্রি হচ্ছে বর্ধমান, দুর্গাপুর, হাওড়া ও দুই ২৪ পরগণায়। বাকি জেলায় আলুর দাম নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। বর্ধমান ও হুগলির হিমঘর থেকে বেশি দামে আলু কিনতে বাধ্য হচ্ছেন কলকাতা-সহ ওই সব জেলার আলুর আড়তদারেরা। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্যের সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “গড় আলু হিমঘর থেকে ২৬ টাকা কেজিতেই বিক্রি হচ্ছে। তারপরে নানা রকম বাছাই করা আলু নিতে গেলে স্বাভাবিক ভাবে দাম এক-দেড় টাকা বেশি পড়ছে। বাস্তব পরিস্থিতিটা তো বুঝতে হবে।” রাজ্য টাস্ক ফোর্সের দাবি, কলকাতার লেক মার্কেট, কাঁকুরগাছি, ভিআইপি, গড়িয়াহাট, সল্টলেকের দু’টি বাজারে আলুর দাম বেশি। টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে স্থানীয় থানাকেও ওই সব বাজারে নজর দিতে বলা হয়েছে। রাজ্য টাস্ক ফোর্সের আর এক সদস্য কমল দে-র আশা, “কয়েক দিনের মধ্যেই খুচরো বাজারেও আলুর দাম কমে যাবে।”
কৃষি বিপণন ও টাস্ক ফোর্সের দাবি, রফতানি শুল্ক ২০% কমিয়ে দেওয়ায় ভিন্ দেশে পেঁয়াজ বেশি পাঠাচ্ছিলেন ব্যবসায়ীরা। আবার খরিফ মরসুমে পেঁয়াজে টান থাকায় দাম অনেকটাই বেড়েছিল। গত সপ্তাহে ৭৫০ টন পেঁয়াজ এ রাজ্যে ঢোকে। রবিবার আরও পেঁয়াজ আসায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১১০০ টনে। তার ফলে অনেক জায়গাতেই সোমবার ৬০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। টাস্ক ফোর্সের দাবি, রাজস্থানের আলওয়ার থেকে পেঁয়াজ ঢোকার পরিমাণ বেড়েছে। পাইকারি বাজারেও দাম কমতে শুরু করেছে। রবীন্দ্রনাথের দাবি, “আনাজের দাম বাড়ার আর জায়গা নেই। এ বার কমতে শুরু করবে।’’