Flood Like Situation

জল ছাড়ায় বাড়ছে প্লাবনের আশঙ্কা 

শুক্রবার রাতে পাঞ্চেত থেকে প্রায় সাড়ে আট হাজার কিউসেক ও মাইথন থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর, আসানসোল শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৪ ০৯:১৯
মাইথন জলাধার থেকে জল ছাড়া হচ্ছে (বাঁ দিকে)। ছবি: পাপন চৌধুরী

মাইথন জলাধার থেকে জল ছাড়া হচ্ছে (বাঁ দিকে)। ছবি: পাপন চৌধুরী জল ছাড়া হচ্ছে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে (ডান দিকে)। ছবি: বিকাশ মশান

দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের (ডিভিসি) মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে শনিবার দিনভর ৪৮ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়। প্রতিদিন কী হারে জল ছাড়া হবে, তা রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে ডিভিসি সূত্রে জানানো হয়েছে। এ দিন বিকেলের দিকে দুর্গাপুর ব্যারাজে জল ছাড়ার পরিমাণ কমেছে। কিন্তু মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল এসে পৌঁছলে আজ, রবিবার ব্যারাজ থেকে জল ছাড়া এক লক্ষের কাছে পোঁছে যাবে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানা যায়।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়েছে। জল বেড়েছে দামোদর ও বরাকর নদে। ডিভিসির দাবি, তাই শুক্রবার রাতে পাঞ্চেত থেকে প্রায় সাড়ে আট হাজার কিউসেক ও মাইথন থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়। শনিবারও পাঞ্চেত ও মাইথন জলাধার থেকে যথাক্রমে প্রায় ৩৬ হাজার ও ১২ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয় বলে জানান ডিভিসির জনসংযোগ অফিসার অরবিন্দ সিংহ। ডিভিসির দাবি, শুক্রবার রাতভর বৃষ্টি হওয়ায় কোনার ও তিলাইয়া জলাধার থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হয়। তাই মাইথন ও পাঞ্চেতের নিরাপত্তার জন্য জল ছাড়া হয়েছে।

দুর্গাপুর ব্যারাজে দামোদরের উচ্চ অববাহিকা, মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে ছাড়া জল এসে জমে। এ ছাড়া, বরাকর, গাড়ুই, সিঙ্গারণ প্রভৃতি নদ-নদীর জল পড়ে দামোদরে। দুর্গাপুর ব্যারাজের জলতল ২১১.৫০ ফুট বজায় রাখতে হয়। সেচ দফতর সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০ হাজার কিউসেক। শনিবার সকালে তা বেড়ে হয় প্রায় ৭০ হাজার কিউসেক। তবে বিকেলে ৩০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া শুরু হয়।

সেচ দফতরের দামোদর হেড ওয়ার্কস ডিভিশনের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় মজুমদার জানান, মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে প্রায় ৭৫ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। সেই জল ব্যারাজে এসে পৌঁছবে আজ সকাল ১০টা নাগাদ। সে ক্ষেত্রে ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ ১ লক্ষ কিউসেক ছাড়িয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, “প্রয়োজনীয় সতর্কতা নিয়ে নিয়ম মেনে জল ছাড়তে হয়।”

সেচ দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যারাজ থেকে জল ছাড়া ৯০ হাজার কিউসেকের বেশি হলেই চিন্তা বাড়ে নিম্ন দামোদরে বসবাস করা মানুষজনের। ১ লক্ষ কিউসেক ছাড়িয়ে গেলে ব্যারাজের ছাড়া জলে সরাসরি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে দুর্গাপুর সংলগ্ন বাঁকুড়ার মানাচর, কাঁকসার সিলামপুর, পূর্ব বর্ধমানের গলসির ভরতপুর, রায়না, জামালপুর, খণ্ডঘোষ, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, আমতা, হুগলির গোঘাট, খানাকুল প্রভৃতি এলাকা। তবে নিম্ন দামোদরে খাল-বিল, পুকুর ফাঁকা থাকলে প্লাবনের মাত্রা কিছুটা কমে বলে দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement