police

বন্দিমৃত্যুর ঘটনায় অগ্নিগর্ভ বরাকর, পুলিশের গাড়িতে আগুন, ফাঁড়ি ভাঙচুর

বরাকরের বাসিন্দাদের একটি অংশের অভিযোগ আরমান খান নামে ওই যুবককে সোমবার রাতে তুলে নিয়ে যান বরাকর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মীরা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বরাকর শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২১ ১২:৪৭
জ্বলছে পুলিশ ফাঁড়ির গাড়ি। (ইনসেটে) মহম্মদ আরমান আনসারি।

জ্বলছে পুলিশ ফাঁড়ির গাড়ি। (ইনসেটে) মহম্মদ আরমান আনসারি। নিজস্ব চিত্র

বন্দিমৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল আসানসোলের বরাকর। অভিযোগ, সোমবার রাতে ওই এলাকার এক যুবককে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। এর পরেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। বরাকর পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর চালায় উন্মত্ত জনতা। একটি গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। এ নিয়ে বরাকর ফাঁড়িতে অভিযোগও দায়ের করে নিহতের পরিবার।

বরাকরের বাসিন্দাদের একটি অংশের অভিযোগ মহম্মদ আরমান আনসারি নামে ওই যুবককে সোমবার রাতে তুলে নিয়ে যান বরাকর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মীরা। মঙ্গলবার সকালে ফাঁড়িতে গিয়ে আরমানের আত্মীয়রা জানতে পারেন তিনি অসুস্থ হয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি। সেখানে গিয়ে জানা যায় আরমানের মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।

Advertisement

মঙ্গলবার আরমানের মৃত্যুর খবর জানাজানি হওয়ার পরেই ক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। বরাকর পুলিশ ফাঁড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। ফাঁড়িতে প্রবেশের মুখে থাকা সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়। এর পর পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে যায় আশপাশের দোকানপাট। যান চলাচলও ব্যাহত হয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থাকা সিকন্দর আনসারি এক ব্যক্তি বলেন, ‘‘আরমান খানের নামে কী মামলা ছিল জানি না। সকালে শুনতে পেলাম ওকে বড়বাবু তুলে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলে দিয়েছে। বড়বাবু কী ভগবান? আমরা ন্যায় চাই। ওরা গরিব পরিবার। ওর বাবা গদি মিস্ত্রি। কী ভাবে এ বার দিন চলবে?’’

ওই কাণ্ডের জেরে ইতিমধ্যেই বরাকর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিক অমরনাথ দাস এবং প্রশান্তকুমার পাল নামে আর এক আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর বলেন, ‘‘পুলিশ হেফাজতে এক জনের মৃত্যুর অভিযোগ এসেছে। তার অভিযোগ জমা পড়েছে। আমরা তদন্ত করছি। প্রাথমিক ভাবে দু’জন অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। জনতা ঢুকে পড়েছিল। গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। তেমন ভাবে কেউ আঘাত পায়নি।’’

নিহত আরমান বরাকরের স্টেশন রোডের বাসিন্দা। আরমানের আত্মীয়দের অভিযোগ, সোমবার রাতে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তাঁর আত্মীয় মহম্মদ আনসারি বলছেন, ‘‘ওকে এর আগেও এক বার পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল। তার পর ওকে ছেড়ে দিয়েছিল। আজ খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে দেখলাম দেহ পড়ে আছে। পুলিশ কি যাকে ইচ্ছা মেরে দেবে? কোনও আইন নেই?’’

আরও পড়ুন
Advertisement