BJP

BJP: মন্ত্রিত্ব হারালেও একদা ‘আসানসোল-শত্রু’ জিতেনের প্রশংসাই পেলেন সুপ্রিয় বাবুল

বাবুল সুপ্রিয়কে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন তিনি অনেক কাজ করেছেন। ভবিষ্যতেও করবেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২১ ১৮:৫৬
বাবুল সুপ্রিয় ও জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

বাবুল সুপ্রিয় ও জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ফাইল চিত্র

মন্ত্রিত্ব গেলেও, ‘একদা শত্রু’ জিতেন্দ্র তিওয়ারি (জিতেন)-র প্রশংসাই পেলেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।জিতেনের বিজেপি-তে যোগ দেওয়া নিয়ে এক সময় আপত্তি তুলেছিলেন আসানসোলের সাংসদ। সেই বাবুল মোদীর মন্ত্রিসভা থেকে ছাঁটাই হওয়ার পর, তাঁর পাশেই দাঁড়ালেন জিতেন। বাবুলকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে জিতেন জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন তিনি অনেক কাজ করেছেন। ভবিষ্যতেও করবেন।

মোদীর মন্ত্রিসভার দীর্ঘ দিনের সদস্য ছিলেন বাবুল। ২০১৪-য় আসানসোল কেন্দ্র থেকে জিতে আসার পর নগরোন্নয়ন এবং আবাসন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হয়ে প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বের স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি। তাঁকে ভারী শিল্প মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। পেয়েছিলেন পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর পদও। কিন্তু সেই গতিতে ছন্দপতন ঘটল বুধবার। তা নিয়ে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়াই দিয়েছেন বাবুলের সতীর্থ জিতেন। তবে আসানসোলের সাংসদের কাজ নিয়ে দরাজ সার্টিফিকেটই দিয়েছেন তিনি। জিতেন বলছেন, ‘‘বাবুল সুপ্রিয় আসানসোলের জন্য অনেক কাজ করেছেন। ভবিষ্যতে আরও কাজ করবেন। মন্ত্রিত্ব থাকল বা গেল, তাতে আসানসোলবাসীর কোনও সমস্যা হবে না।’’

Advertisement

অথচ তৃণমূলে থাকাকালীন আসানসোলে জিতেন এবং বাবুলের উপস্থিতি ছিল বিরোধাভাসের সমাহার। যার প্রভাব টের পাওয়া গিয়েছিল সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটের আগে, জিতেনের বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার সময়েও। জিতেনের পদ্মশিবিরে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত পেতেই নেটমাধ্যমে প্রবল আপত্তি তুলেছিলেন বাবুল। অবশ্য বিষয়টি তাঁর ‘ব্যক্তিগত মত’ বলেও জানিয়েছিলেন আসানসোলের সাংসদ। জিতেনকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন বলেও জানিয়েছিলেন। যদিও, শেষ পর্যন্ত রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বিজেপি-তে যান জিতেন। যদিও সেই দ্বন্দ্বের পর্ব সরিয়ে রেখে বৃহস্পতিবার সতীর্থের পাশেই দাঁড়িয়েছেন জিতেন।

আরও পড়ুন:

মন্ত্রিসভা থেকে ছাঁটাই হওয়ায় পর বাবুল সুপ্রিয় নেটমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘হ্যাঁ, আমি মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছি। ইস্তফা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটা সঠিক পদ্ধতি নাও হতে পারে’। তা নিয়ে বুধবার রাতেই এক সাংবাদিক বৈঠকে নাম না করে বাবুলকে নিশানা করেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘তাঁকে (বাবুল) যদি স্যাক (বরখাস্ত) করা হত, তা হলে কি ভাল হত? পদ্ধতি মেনে হয়েছে। আপনি পদ ছেড়ে দিন, অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। আপনাকে অন্য কাজে লাগানো হবে। সবাই তাই করেন। ১২ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। কেউ তো এমন লেখেনি? কাজের প্রতি আস্থা রাখা উচিত। পার্টির কাজ করছি, বিধায়ক সাংসদ যা হয়েছি, তা পার্টির জন্য।’’

আরও পড়ুন
Advertisement