Fake call centre

কল সেন্টারের মুখোশের আড়ালে প্রতারণার কারবার! চার তরুণী-সহ আট জনকে ধরল আসানসোল পুলিশ

আসানসোল সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশের কাছে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তদন্তে নেমে অভিযান চালিয়ে চার তরুণী-সহ আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রচুর নথিও।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৪ ১২:০৯
— Representative Image

— প্রতীকী চিত্র।

নামেই কল সেন্টার। ভিতরে রমরমিয়ে চলছে প্রতারণার কারবার! প্রতারিতদের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এমনই ভুয়ো কল সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত চার তরুণী-সহ মোট আট জনকে গ্রেফতার করেছে আসানসোল সাইবার থানার পুলিশ। আদালতে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ। তাঁদের জেরা করে এই চক্রের সঙ্গে আর কে কে জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

Advertisement

ভুয়ো কল সেন্টারের আড়ালে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে চার তরুণী-সহ আট জনকে গ্রেফতার করেছে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের সাইবার থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আসানসোলের কল্যাণপুর আইটি পার্কে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। কম্পিউটার-সহ বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে সাইবার থানার পুলিশ। সাইবার থানার এসিপি বিশ্বজিৎ নস্কর বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরেই কল্যাণপুরের ওয়েবল আইটি পার্কে ভুয়ো কল সেন্টার খুলেছিলেন ধৃতেরা। কল সেন্টার থেকে গ্রাহকদের ফোন করে পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে তাঁদের ব্যাঙ্কের তথ্য হাতিয়ে নিয়ে আর্থিক প্রতারণা করা হত।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতারণার শিকার হওয়ার পর প্রতারিতরা সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভুয়ো কল সেন্টারে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মোট আট জনকে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পাশাপাশি কল সেন্টার থেকে কম্পিউটার-সহ বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছে সাইবার থানার পুলিশ। এসিপি বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তদন্ত করে দেখি কী আছে। তার পর বলা যাবে ধৃতের কী ভাবে প্রতারণাচক্র চালাতেন।’’

আরও পড়ুন
Advertisement