Death

ধানের গোডাউনে বস্তাবন্দি অবস্থায় মিলল কর্মীর দেহ! নিখোঁজ কিশোরকে খুঁজতে গিয়ে আঁতকে উঠলেন মা

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম রকি হালদার। ১৭ বছরের ওই তরুণের বাড়ি কালনার ধর্মডাঙা গ্রামে। মায়ের সঙ্গে গত দু’ মাস ধরে কালনার রংপাড়ার একটি ধানের গোডাউনে কাজ করত সে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৪২
death

—প্রতীকী চিত্র।

ধান সেদ্ধ করার ‘স্টিম রুম’-এ বস্তাবন্দি অবস্থায় মিলল এক কিশোরের দেহ। সোমবার এ নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের কালনার একটি গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কালনা থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম রকি হালদার। ১৭ বছরের ওই কিশোরের বাড়ি কালনার ধর্মডাঙা গ্রামে। মায়ের সঙ্গে গত দু’মাস ধরে কালনার রংপাড়ার একটি ধানের গোডাউনে কাজ করত সে। মায়ের সঙ্গে ধান সেদ্ধ করার কাজ করত রকি। মূলত সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ হত। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে যাওয়ায় পরেও ছেলে বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে যান মা রিনা হালদার। কয়েক বার ছেলেকে ফোন করেন তিনি। তার মধ্যে বিকেলের দিকে নাকি এক বার মায়ের সঙ্গে কথাও হয় ছেলের। কিন্তু রাতেও বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে যান রিনা। সোমবার সকাল হতেই গুটি গুটি পায়ে গোডাউনে চলে যান মা। গোডাউনে ঢুকে ঘরের একটি কোণে বস্তাবন্দি অবস্থায় ছেলেকে পান তিনি। তাঁর চিৎকার-চেঁচামেচিতে অন্য সহকর্মীরা ছুটে আসেন। খবর যায় থানায়।

মৃতের পরিবারের অভিযোগ, রকির বন্ধুরাই তাকে খুন করে বস্তায় ভরে রাখতে পারে। মৃতের মামা শ্যামল হালদার বলেন, ‘‘রকিকে খুন করা হয়েছে। ওর বন্ধুরাই খুন করেছে। পুলিশ তাদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। খুনিরা ধরে পড়বে।’’ যদিও নির্দিষ্ট করে কারও নাম বলতে পারেননি তাঁরা। দোষীদের ধরার জন্য পুলিশের কাছে আর্জি জানিয়েছে কিশোরের পরিবার। এই ঘটনা নিয়ে ওই গোডাউনের মালিক বিদ্যুৎ রায় দাবি করেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, ‘‘আমি খবর পেয়ে গোডাউনে আসি। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু কী ভাবে এমনটা হয়েছে, আমি বলতে পারব না।’’

রহস্যমৃত্যু নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ বলেন, ‘‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা বলা যাবে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement