তবস্সুম আরার বিরুদ্ধে কুলটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের বিজেপি-র নিজস্ব চিত্র।
আসানসোলের টিকা বিতর্ক এ বার পৌঁছল থানায়। পুরসভার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তথা তৃণমূল নেত্রী তবস্সুম আরার বিরুদ্ধে কুলটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তদন্তের দাবি জানালেন বিজেপি-র সংখ্যালঘু সেলের সহ-সভাপতি জিসান কুরেশি।
নিজের অভিযোগে জিসান লেখেন, ‘সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনা দেখে আমরা শঙ্কিত। তবস্সুমের করোনার টিকা দেওয়ার কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। তার পরেও তিনি নিজে টিকা দিয়েছেন। এতে ওই মহিলার জীবনের ঝুঁকি হতে পারে। এই ঘটনা অপরাধ। তাই আমরা আবেদন জানাচ্ছি, এই ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
শনিবার আসানসোলের চবকায় যৌনকর্মীদের জন্য আয়োজন করা টিকা শিবিরে গুড়িয়া মাহাতো নামে এক মহিলাকে নিজেই টিকা দেন তবস্সুম। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তবস্সুমকে শোকজ করেন বোর্ডের চেয়ারপার্সন অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। ওই টিকাকরণ শিবিরে উপস্থিত থাকা চিকিৎসক অপূর্ব কুমার পানকেও শোকজ করেছেন আসানসোলের পুর কমিশনার নীতিন সিংহানিয়া। তার পাশাপাশি, মনালি ভট্টাচার্য এবং শাহনওয়াজ পারভিন নামে দুই নার্সকেও শোকজ করা হয়েছে। তাঁরাও ওই টিকা শিবিরে ছিলেন।
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনুসারে রবিবার গুড়িয়াকে চেকআপ করার জন্য চিকিৎসকদের এক প্রতিনিধি দল তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে দেখে আসেন। চিকিৎসক অপূর্ব কুমার পান বলেন, ‘‘গুড়িয়া ভালোই আছেন। ওঁর পালস ঠিকই আছে। ওঁকে নজরে রাখা হচ্ছে। যেন কোনও অসুবিধা না হয়, সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে।’’ গুড়িয়া বলেন তিনি ভালোই আছেন, ‘‘আমি তো ভেবেছিলাম ডাক্তারই আমাকে টিকা দিচ্ছেন। আমার সুগার রয়েছে। টিকা নেওয়ার পরেও সুগারের ওষুধ খাওয়া যাবে কি না জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তাতে ওঁরা বলেন খেতে পারব। কে টিকা দিয়েছেন সেটা আমি দেখিনি। তবে টিকা নেওয়ার পর থেকে আমার সেরকম কোনও সমস্যা হয়নি। একটু জ্বর জ্বর লাগছে। গা, হাত, পায়ে ব্যথা আছে।’’ অন্য দিকে তৃণমূল নেতা ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘খবর পেয়ে স্বাস্থ্য দফতর সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিয়েছে। দলও নজর রাখছে। বিজেপি এটাকে নিয়ে ইস্যু বানাচ্ছে। দলের ভাল কাজগুলো ঢাকার জন্য বিজেপি এই সব অভিযোগ করছে।’’