অভিযোগ, ইউপিআই পেমেন্টের মাধ্যমে হয়েছে সব লেনদেন। — প্রতীকী চিত্র।
ফোন হারিয়ে যাওয়ার পর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়ের হয়ে গিয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। এমনই অভিযোগ নিয়ে শুক্রবার পুলিশের দ্বারস্থ হলেন প্রতারিত ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে খবর, পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা শেখ মুজিবর রহমান একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তাঁর দাবি, গত ২৩ অক্টোবর কাজের সূত্রে বাঁকুড়ার মেজিয়ায় গিয়েছিলেন। মেজিয়া বাজারে তাঁর স্মার্টফোনটি হারিয়ে যায়। তিনি পুলিশের কাছে মিসিং ডায়েরি করেছিলেন। ফোন মেলেনি। অন্য দিকে, ফোন হারানোর পাঁচ দিনের মাথায় তিনি জানতে পারেন তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে ১০ লক্ষ টাকা।
মুজিবর জানিয়েছেন একটি আর্থিক বিনিয়োগকারী সংস্থায় চাকরি করেন তিনি। সংস্থার তিনটি শাখার দায়িত্ব রয়েছে তাঁর হাতে। কাজের সূত্রেই বাঁকুড়ায় গিয়েছিলেন। এখন স্মার্টফোন হারানোর পর ১০ লক্ষ টাকা খুইয়ে মাথায় হাত পড়েছে তাঁর। তিনি আশঙ্কা করছেন, ফোন থেকে যাবতীয় তথ্য নিয়ে এই কাজ করেছে অভিযুক্তেরা। যে সংস্থায় চাকরি করেন, সেখানকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ছিল স্মার্টফোনে। সব মিলিয়ে তিনি চাপের মধ্যে রয়েছেন।
মুজিবরের কথায়, ‘‘ওই স্মার্টফোনে দুটি সিমকার্ড ছিল। নিখোঁজ ডায়েরি করার পরে ওই নম্বর দুটি ‘ব্লক’ করার জন্য মোবাইল সংস্থাকে জানিয়ে দিয়েছি। আমার তিনটি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তিনটি অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যে মোবাইল নম্বর যুক্ত ছিল, সেই সিমকার্ডটি ওই স্মার্টফোনেই লাগানো ছিল।’’ তিনি আরও জানান, তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকা ছিল কালনার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখায়। ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা। গত ২৮ অক্টোবর তিনটি ব্যাঙ্কেরই শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি জানতে পারেন স্মার্টফোন হারিয়ে যাওয়ার পর থেকে মোট ১০ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে। অধিকাংশ লেনদেনই হয়েছে ইউপিআইয়ের মাধ্যমে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে ভাতার থানার পুলিশ।