অবৈধ রাস্তা ভাঙল ব্লক প্রশাসন। নিজস্ব চিত্র।
সহজে পারাপারের জন্য নদীবক্ষে মাটি-পাথরের বাঁধ দিয়ে রাস্তা তৈরি করেছিলেন এলাকাবাসী। বিষয়টি নজরে পড়তেই, সোমবার বারাবনি ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে সেই রাস্তা ভেঙে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাসিন্দারা। বারাবনি ব্লক প্রশাসনের দাবি, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করতেই এই উদ্যোগ।
বারাবনির জামগ্রাম পঞ্চায়েতের আমুলিয়া লাগোয়া অজয়ে পাথর, মাটি দিয়ে একটি রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। রাস্তাটি আমুলিয়া থেকে ঝাড়খণ্ডের কাস্তা পঞ্চায়েতের নানা গ্রামের সঙ্গে সংযোগে সুবিধা করেছিল। এই রাস্তা ধরেই ঝাড়খণ্ডের নলা, কাস্তা-সহ প্রায় আটটি গ্রামের বাসিন্দারা বারাবনির কাপিষ্ঠা হয়ে আসানসোল-সহ আশপাশের এলাকায় যাতায়াত করছিলেন। কয়েক দিন আগে এই অস্থায়ী রাস্তাটি তৈরির খবর পৌঁছয় বারাবনি ব্লক প্রশাসনের কাছে। এর পরেই রাস্তাটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সোমবার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে যন্ত্র নামিয়ে রাস্তাটি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয়। এই কাজ শুরু হতেই বিক্ষোভ দেখান ঝাড়খণ্ডের এক দল বাসিন্দা। তাঁদের বাধা উপেক্ষা করেই ভাঙার কাজ শেষ করা হয়। বারাবনির বিডিও শিলাদিত্য ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘নদীবক্ষে এ ভাবে বাঁধ দেওয়ার নিয়ম নেই। প্রকৃতির ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। তাই রাস্তাটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও যাতে এমন বাঁধ দিয়ে রাস্তা তৈরি না করা হয়, তা কঠোর ভাবে দেখা হবে।’’
রাস্তা ভাঙার সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ঝাড়খণ্ডের কাস্তা পঞ্চায়েতের প্রধান রাজেশকুমার মাহাতো। তিনি বারাবনি ব্লক প্রশাসনের কাছে রাস্তাটি না ভাঙার আবেদন করলেও তা শোনা হয়নি। রাজেশের দাবি, ‘‘ঝাড়খণ্ডের মানুষজন এই অস্থায়ী রাস্তা ধরে মাত্র চার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে বারাবনি হয়ে আসানসোল পৌঁছে যেতেন। কিন্তু রুনাকুড়া ঘাট হয়ে আসানসোলে পৌঁছতে প্রায় ২৭ কিলোমিটার যেতে হবে।’’ তিনি জানান, সাধারণত এই রাস্তায় স্কুল পড়ুয়া থেকে রোগীরা যাতায়াত করতেন। রাস্তা ভেঙে দেওয়ায় সাধারণ মানুষ বিপদে পড়বেন, দাবি তাঁর।
বারাবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসিত সিংহের দাবি, পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন প্রান্তে এ রকম আরও বহু রাস্তা আছে। ব্লক প্রশাসন ভেবেছে নিরাপত্তার স্বার্থে এই রাস্তা ভেঙে দেওয়া উচিত, তাই এই কাজ করা হয়েছে।