Animal Cruelty

ঘুরে ঘুরে বন্যপ্রাণী শিকার! আটক ৩৮ ‘চোরাশিকারি’, কেতুগ্রামে উদ্ধার শতাধিক পশুপাখির দেহ

বন দফতর সূত্রে খবর, কেতুগ্রামের কুমোরপুর গ্রামের কাছে কয়েক জনকে কয়েকটি বন্যপ্রাণীর দেহ মোটরচালিত ভ্যানে চাপাতে দেখা যায়। কুমোরপুর এলাকায় কয়েক জন যুবক তা দেখতে পান।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৪ ২৩:৫৩
প্রায় ৪০ জনের শিকারি দল ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে গ্রামে গ্রামে ঝোপঝাড়ে ঘুরে বন্যপ্রাণী ও পাখি হত্যা করেছেন।

প্রায় ৪০ জনের শিকারি দল ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে গ্রামে গ্রামে ঝোপঝাড়ে ঘুরে বন্যপ্রাণী ও পাখি হত্যা করেছেন। —নিজস্ব চিত্র।

দলবেঁধে রীতি মতো গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে ঘুরে চলছিল বন্যপ্রাণী শিকার। বিভিন্ন ধরনের পাখি থেকে গোসাপ, বেজি থেকে কাঠবেড়ালি, খটাশ কিছুই বাদ যাচ্ছিল না। নির্বিচারে চলছিল হত্যা! প্রায় ৪০ জনের শিকারি দল ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে গ্রামে গ্রামে ঝোপঝাড়ে ঘুরে এ ভাবেই কার্যত বন্যপ্রাণী, পাখি হত্যা করছিলেন। একটি বন্যপ্রাণপ্রেমী সংস্থার সহযোগিতায় পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থেকে ওই দলটিকে পাকড়াও করল বন দফতর। সব মিলিয়ে মোট ৩৮ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের কাছে উদ্ধার হয়েছে শতাধিক পশুপাখির দেহ। মিলেছে দু’টি মোটরচালিত ভ্যান।

Advertisement

বন দফতর সূত্রে খবর, কেতুগ্রামের কুমোরপুর গ্রামের কাছে কয়েক জনকে কয়েকটি বন্যপ্রাণীর দেহ মোটরচালিত ভ্যানে চাপাতে দেখা যায়। কুমোরপুর এলাকায় কয়েক জন যুবক তা দেখতে পান। তাঁরাই ওই মোটরভ্যান দু’টি আটক করেন। ঘটনাচক্রে ওই দুই যুবক ‘হিউম্যান অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট অ্যালায়েন্স লিগ’ (হিল)-এর সঙ্গে যুক্ত। সংস্থার এক কর্তা বলেন, ‘‘দুই-তিনটি গাড়িতে বিভিন্ন ধরনের পাখি, গোসাপ, বেজি, কাঠবেড়ালি, বনবিড়ালের দেহ পাওয়া গিয়েছে। কিছু প্রাণী জীবিত ছিল। সব মিলিয়ে কয়েক’শো পশুপাখি শিকার করা হয়েছে। দেখার পরেই আমরা বনবিভাগে জানাই।’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আটক করা শিকারিদলের অধিকাংশই বীরভূম জেলার বাসিন্দা। তাঁরা সঙ্গে করে শিকার করার অস্ত্রও নিয়ে এসেছিলেন। বন দফতরের কাটোয়া রেঞ্জের আধিকারিক শিবপ্রসাদ সিংহ বলেন, ‘‘ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন