Sandeshkhali Incident

সন্দেশখালির সাত ‘দুয়ারে’ অন্তত ৪০০ অভিযোগ! শিবু-উত্তমেরা কত জমি ‘হাতিয়েছেন’, শুনল প্রশাসন

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, দিনের শেষে অন্তত ৪০০টি অভিযোগ জমা পড়েছে সেই সব শিবিরে। সেগুলির মধ্যেই জমি সংক্রান্ত অভিযোগ তো রয়েছেই, রয়েছে বার্ধক্য ভাতা ও বিধবা ভাতা সংক্রান্ত অভিযোগও।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
সন্দেশখালি শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৫৮

—ফাইল চিত্র।

তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ এবং তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতির অভিযোগ জানতে পদক্ষেপ করা শুরু করেছে প্রশাসন। রবিবার ‌থেকে সন্দেশখালির দু’টি ব্লকে মোট সাতটি শিবির খোলা হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, দিনের শেষে অন্তত ৪০০টি অভিযোগ জমা পড়েছে সেই সব শিবিরে। সেগুলির মধ্যেই জমি সংক্রান্ত অভিযোগ তো রয়েছেই, রয়েছে বার্ধক্য ভাতা ও বিধবা ভাতা সংক্রান্ত অভিযোগও।

Advertisement

রবিবার সন্দেশখালি-১ এবং সন্দেশখালি-২ ব্লকে দেখা গেল, ‘দুয়ারে সরকার’-এর মতো করে শিবির করে জমি লিজ় এবং পাট্টা সংক্রান্ত অভিযোগ শুনছে প্রশাসন। সকাল থেকেই সেই শিবিরগুলোতে লোকজনের ভিড়ও হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে হোর্ডিং-এ লেখা রয়েছে, ‘পরিবর্ধিত সমস্যা সমাধান জনসংযোগ’। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সন্দেশখালি ১ ব্লকে জমা পড়েছে ৯০টি অভিযোগ। তার মধ্যে জমি সংক্রান্ত অভিযোগ আটটি। আর সন্দেশখালি ব্লকে সব মিলিয়ে ৩২০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তার মধ্যে ৪০টির মতো জমি সংক্রান্ত অভিযোগ। বাকিগুলির মধ্যে বার্ধক্য ও বিধবা ভাতা সংক্রান্ত অভিযোগও রয়েছে।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, শাহজাহান শেখ, উত্তম সর্দার, শিবপ্রসাদ হাজরাদের নামে শয়ে শয়ে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। তার মধ্যে অন্যতম হল জমি কেড়ে নিয়ে ভেড়ি করা এবং পাট্টা না দেওয়া। ওই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই শিবির শুরু হয়েছে।

সন্দেশখালিতে জমির লিজ়ের টাকা যাঁরা পাননি, তাঁদের টাকা দলই ফেরত দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূল। সেই কাজও থেকে শুরু হয়েছে বলে খবর দলীয় সূত্রে। রবিবার সন্দেশখালি গিয়েছিলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, সুজিত বসু এবং বিরবাহা হাঁসদা। দলীয় সূত্রে খবর, তাঁদের হাত ধরেই টাকা ফেরানোর কাজ শুরু হয়েছে। যাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে চার জনের নাম জানা গিয়েছে—মায়া চক্রবর্তী, জ্যোৎস্না বালা মণ্ডল, অংশুমান সর্দার এবং সিদাম মণ্ডল।

আরও পড়ুন
Advertisement