অনুব্রত মণ্ডল আদালতে জানান যে, তিনি অসুস্থ। ফাইল চিত্র।
আরও চার দিনের সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল।
অনুব্রত মামলায় রায়দান আপাতত স্থগিত রাখা হল।
আদালতে অনুব্রত বলেন, ‘‘শরীর বরাবর অসুস্থ। কাল জ্বর ছিল। কাশি।’’ বিচারক বলেন, ‘‘চিকিৎসকদের বলেছিলাম, তাঁরা আপনাকে দেখছেন তো?’’ অনুব্রতের জবাব, ‘‘ওষুধ খাচ্ছি।’’ শুনে বিচারক বলেন, ‘‘অসুবিধা হলে চিকিৎসককে বলতে দ্বিধা বোধ করবেন না।’’ বিচারকের কথার প্রেক্ষিতে অনুব্রত বলেন, ‘‘আচ্ছা।’’
‘‘কোটি কোটি টাকা ওঁর (অনুব্রত) নয়তো ওঁর মেয়ের কিংবা ওঁর পরিচিতের অ্যাকাউন্ট থেকে এদিক-ওদিক হয়েছে। প্রত্যেকটা প্রমাণ হাতে আসার পর ওঁকে কথা বলার অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ওঁকে বার বার ডাকা হয়েছে। কিন্তু বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। উনি প্রভাবশালী। ওঁর সঙ্গে রাজ্য সরকারের যোগসূত্র রয়েছে। ভুয়ো প্রেসক্রিপশন লিখতে চিকিৎসকদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ওঁর দেহরক্ষী মধ্যস্থতাকারী। এটা কোনও একার ব্যবসা নয়। একটা চক্র’’, আদালতে জানালেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।
‘‘উনি (অনুব্রত) বলছেন, সবসময় সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু অভিযুক্ত জিজ্ঞাসাবাদ এড়াতে সব রকম চেষ্টা চালিয়েছেন’’, আদালতে বললেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। অনুব্রতের কন্যাও অসহযোগিতা করছেন বলে দাবি সিবিআইয়ের।
সিবিআইয়ের ভূমিকার বিরুদ্ধে সরব হয়ে আদালতে অনুব্রতের আইনজীবী বলেন, ‘‘বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা জানানো হয়েছিল। তখন কোনও জবাব দেয়নি সিবিআই। পরের দিন আবার নোটিস পাঠানো হয়। এতেই সিবিআইয়ের স্বচ্ছতা নষ্ট হয়েছে। ১৪ দিনের বিশ্রামের কথা মেডিক্যাল রিপোর্ট সহকারে দেওয়া হয়। সিবিআই কী ব্যবহার করেছে সেটা দেখা উচিত। অনুব্রত পালিয়েও যাননি, গা-ঢাকাও দেননি। উনি কখনই সিবিআইকে এড়াননি। একবার উনি সুস্থ ছিলেন, সে সময় নিজেই সিবিআই দফতরে গিয়েছিলেন।’’
‘‘সহগল যা করেছেন তা অনুব্রতের প্রভাবে, এই অভিযোগের কোনও প্রমাণ নেই’’, আদালতে দাবি করলেন অনুব্রতের আইনজীবী।
অনুব্রতের দেহরক্ষী সহগল হোসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ ছিল গরু পাচার-কাণ্ডে ধৃত এনামূল হকের। এমন দাবিই করেছে সিবিআই। এই অভিযোগের কোনও প্রমাণ নেই বলে জানান অনুব্রতের আইনজীবী।
অনুব্রত মণ্ডলকে আরও জেরার প্রয়োজন রয়েছে। আরও চার দিনের হেফাজতের আবেদন জানাল সিবিআই।
চালকল বিতর্ক প্রসঙ্গে আদালতে অনুব্রতের আইনজীবী বলেন, ‘‘বহু বছর আগে রাইস মিল ওঁর শ্বশুর ওঁকে উপহার হিসাবে দিয়েছেন।’’আইনজীবী আরও বলেছেন, ‘‘যথেষ্ট সহযোগিতা করা হচ্ছে। তবুও অসহযোগিতার অভিযোগ করা হচ্ছে।’’
আসানসোলে সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে অনুব্রত-মামলা শুনানি শুরু হল।
আসানসোলে সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে আনা হল অনুব্রত মণ্ডলকে। আদালত চত্বরে অনুব্রতকে ‘গরু চোর’ স্লোগান দেওয়া হল। পাল্টা ‘জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেওয়া হয়।
অনুব্রত মণ্ডলকে দেখে আবারও দেওয়া হল ‘গরু চোর’ স্লোগান। আসানসোলে ইসিএল গেস্ট হাউসের সামনে অনুব্রতকে এই স্লোগান দেওয়া হল। এর আগে এসএসকেএম হাসপাতালে অনুব্রতকে এই স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা কলকাতা হাই কোর্টে যান। সেখানে তাঁকে দেখে ‘গরু চোরের মেয়ে’ বলে স্লোগান দেন এক মহিলা।
একটু পরেই আসানসোলে বিশেষ আদালতে তোলা হবে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে।
শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে গরু পাচার-কাণ্ডে আসানসোল আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন করলেন তাঁর আইনজীবী।
আসানসোলের বিশেষ আদালতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশের বিশাল বাহিনী। গত ১১ অগস্ট আদালত চত্বরে অনুব্রতের উদ্দেশে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছিল অনেককে, এই ঘটনা এড়াতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে আসানসোলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে সিবিআই। শনিবার আদালতে পেশ করা হবে তৃণমূল নেতাকে।
নিজাম প্যালেস (কলকাতায় সিবিআই দফতর) থেকে আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল অনুব্রতক। সেই সময় সংবাদমাধ্যমে অনুব্রত দাবি করেন, ‘‘আমার কোনও বেনামি সম্পত্তি নেই।’’ সেই সঙ্গে তিনি এ-ও বলেন, ‘‘আমি তদন্তে সহযোগিতা করছি।’’
গরু পাচার মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোলের বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে। তৃণমূল নেতাকে আসানসোলে নিয়ে যাচ্ছে সিবিআই।