‘মেড ইন ইউএস’ পিস্তল। —নিজস্ব চিত্র।
অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র পাচার করতে গিয়ে শনিবার সকালে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানা এলাকায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফ এবং ফরাক্কা পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার হলেন দুই ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ‘মেড ইন আমেরিকা’ লেখা চারটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং আটটি ম্যাগাজিন। উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলির সব ক’টিই ৭ এমএম স্বয়ংক্রিয় পিস্তল বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে তিনটি পিস্তলের গায়ে ‘মেড ইন ইউএসএ’ লেখা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের অভিযোগে ধৃত দুই ব্যক্তির নাম ইজারুল হক (৩২) এবং মোস্তাফা শেখ (৪৬)। ইজারুলের বাড়ি ডোমকল থানার মুরারিপুর এবং মোস্তাফার বাড়ি বাগডাঙা গ্রামে। শনিবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসটিএফ এবং ফারাক্কা পুলিশ তাঁদের ফরাক্কা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলির প্রতিটির সঙ্গে একটি করে ম্যাগাজিন ছিল। এ ছাড়াও অতিরিক্ত একটি করে ম্যাগাজিন রয়েছে প্রত্যেকটি আগ্নেয়াস্ত্রের সঙ্গে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তিদের হেফাজত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও কয়েকটি মোবাইল ফোন, ট্রেনের টিকিট এবং নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে।
ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, পুলিশকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য ধৃতেরা ট্রেনে করে বীরভূমের রামপুরহাট থেকে বিহারের জামালপুর যান। সেখানে কোনও এক অস্ত্র কারবারির কাছ থেকে অস্ত্রগুলি সংগ্রহ করেন। এর পর সেখান থেকে ফরাক্কা হয়ে দু’জনের ডোমকলে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। পুলিশের একটি সূত্র দাবি করেন, উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলি যদি সত্যিই আমেরিকায় তৈরি হয় এবং সেগুলি যদি আসল ‘মডেল’ হয়, তা হলে প্রত্যেকটির দাম কয়েক লক্ষ টাকা। এগুলি ভারতের বাজারে সহজলভ্য নয়। ধৃত ব্যক্তিরা কী ভাবে আমেরিকায় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করে ফেললেন, তা এখন পুলিশকে ভাবাচ্ছে।
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘আগ্নেয়াস্ত্র সমেত দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অস্ত্রগুলি কোথা থেকে এবং কেন আনা হচ্ছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’