—প্রতীকী ছবি।
ভাঙড়ে ফের এক জনের মৃত্যুর জেরে রাজ্যে বেড়ে চলা গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে সরব হল সব দল। বিরোধীদের অভিযোগের আঙুল পুলিশ-প্রশাসনের ব্যর্থতার দিকে। দোষীদের শাস্তির দাবি করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘প্রশাসনিক সুবিধার জন্য ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের আওতায় আনা হল। মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে। আইনের উপরে মানুষের ভরসা চলে গিয়েছে, তাঁরা অসহিষ্ণু হয়ে উঠছেন। পুলিশ অপদার্থ! পুলিশ চাকরি-প্রার্থীদের হেফাজতে নিতে পারে, বুলডোজ়ার দিয়ে বাড়ি ভাঙা বা ভোট লুট করতে পারে। শাসকের আইন এখন মানুষের আইনে পরিণত হলে, সেটাও ভাল হবে না।” প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেছেন, ‘‘অপরাধীরা প্রশ্রয় পাচ্ছে। তারা জানে, তাদের কিছু হবে না, এটা তাদের সরকার। মানুষও তাই অসহায়।’’ আবার রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের মতে, “২০২১-এর ২ মে’র পরে ২৭ দিনে আমাদের যে ৫৬ জন মারা গিয়েছিলেন, তাঁদের কত জন গণপিটুনিতে মারা গিয়েছিলেন? একটি আদিবাসী ছেলেকে, বারাসতের ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী মহম্মদ আলিকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল। তখনই বাংলার তথাকথিত প্রগতিশীলেরা ও অন্য রাজনৈতিক দলগুলি যদি মানুষকে বলত, এই অধিকার মানুষ মানুষকে দেয়নি, তা হলে এই দিন দেখতে হত না।” তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেনের বক্তব্য, “এই ধরনের ঘটনা সমর্থনযোগ্য নয়। রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করুক এবং দলমত নির্বিশেষে শাস্তির ব্যবস্থা করুক।”