Akhil Giri

বাজি-মাইকের দাপট, মন্ত্রীর নিশানায় পুলিশ

শুক্রবার রাতে এগরা পুর-শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বস্তিয়ায় একটি ক্লাবের কালীপুজোর উদ্বোধনে এসেছিলেন রাজ্যের কারা দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অখিল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
এগরা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৩ ০৫:৪৯
এগরা শহরে কালীপুজোর উদ্বোধনে অখিল গিরি।

এগরা শহরে কালীপুজোর উদ্বোধনে অখিল গিরি। —নিজস্ব চিত্র।

সবুজ বাজির পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে থানার কালীপুজোয় নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তুললেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। বাজির দাপট ও মাইক-দৌরাত্ম্যের প্রশ্নে পুলিশকে বিঁধলেনও তিনি।

Advertisement

শুক্রবার রাতে এগরা পুর-শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বস্তিয়ায় একটি ক্লাবের কালীপুজোর উদ্বোধনে এসেছিলেন রাজ্যের কারা দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অখিল। সেই মঞ্চেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘খবরের কাগজে দেখলাম, যারা আইনের রক্ষক, তাদের থানার কালীপুজোতেই বেশি বাজি ফাটছে। বেশি মাইক বাজছে।’’ সেই সঙ্গে সবুজ বাজি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় মনে করিয়ে দিয়ে মন্ত্রীর বার্তা, ‘‘সবুজ বাজিটা চলবে। যে বাজি মানুষের ক্ষতি করবে, সেই বাজি একেবারে ফাটানো চলবে না। আপনারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করবেন।’’

ক’দিন আগেই আয়কর দফতরের নোটিস পেয়েছেন অখিল ও তাঁর ছেলে সুপ্রকাশ গিরি। কালীপুজোর পরের দিন তলব করা হয়েছে তাঁদের। তা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই পুলিশকে নিশানা করে অখিলের এই মন্তব্যে শোরগোল পড়েছে।

বস্তুত, রাজ্য জুড়েই থানা চত্বরে পুলিশকর্মীদের উদ্যোগে কালীপুজোর চল রয়েছে। অনেক থানা চত্বরে আবার কালী মন্দিরও রয়েছে। অভিযোগ, এই কালীপুজোর আয়োজনে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর থেকে মোটা টাকা আদায় করে পুলিশ। এই মরসুমে যে বেআইনি বাজি উদ্ধার হয়, তা-ও পুলিশকর্মীরাই ফাটান বলে একাংশের অভিযোগ। তা ছাড়া, থানা চত্বরে মাইক বেঁধে রাত পর্যন্ত গানবাজনা চলে বলেও দাবি। খোদ রাজ্যের এক মন্ত্রীর মুখে এ বার সেই সব কথা শোনায়, জেলা জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

নিজের বক্তব্যে অবশ্য অনড় অখিল। শনিবার এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘শুক্রবার রাতে এই বিষয়ে যা বলার বলে দিয়েছি। নতুন করে বিশ্লেষণ করার কিছু নেই।’’ তবে এ নিয়ে পুলিশের মুখে কুলুপ। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই বিষয়ে আমি কিছু মন্তব্য করব না।’’

আরও পড়ুন
Advertisement