Firecrackers Factories

বৈঠক বাজি বাজার নিয়ে, বাড়ছে জটিলতা

ব্যবসায়ী ও বাজারের আয়োজকেরা জানালেন, শিবকাশি থেকে বাজি কিনে এনে মজুতের জায়গা নেই। আবার ব্যবসায়ীরা বেআইনি বাজি নিয়ে বসলে বাজারের উদ্যোক্তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:৫৭
An image of Fire Crackers

—প্রতীকী চিত্র।

দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের পরে আগামী কালীপুজো ও দীপাবলিতে কলকাতা এবং রাজ্যে বাজির বাজার কী ভাবে বসানো সম্ভব, তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। বাজির বাজার বসানো নিয়ে শনিবার উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা বৈঠক করলেও সবুজ বাজির সরবরাহ ও পরিকাঠামো-সহ একাধিক সমস্যার কারণে তাঁরা বাজির বাজার বসানোর বিষয়ে ভরসা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।

Advertisement

এগরা, দত্তপুকুর-সহ একাধিক জায়গায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পরে ব্যবসায়ী ও আয়োজকদের একাংশের ধারণা, সবুজ বাজির বদলে বেআইনি বাজি বিক্রি হচ্ছে কি না, তার খোঁজে চলতি বছরে বাজির বাজারগুলিতে কড়া নজরদারি থাকবে। অথচ, এই সবুজ বাজি কোথা থেকে আসবে, তা নিয়ে এখনও সরকার কিছুই জানায়নি বলে অভিযোগ।

‘পশ্চিমবঙ্গ বাজি শিল্প উন্নয়ন সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক তথা টালা পার্ক বাজি বাজারের আয়োজক শুভঙ্কর মান্না বলেন, ‘‘সরকার সবুজ বাজি আবশ্যিক করলেও তা আসবে কোথা থেকে, জানা নেই। নিয়ম মেনে বাজি তৈরির ছাড়পত্র পেয়েছেন সাত জন প্রস্তুতকারী। বিধি মেনে ব্যবসায়ীরা বাড়িতে বাজি মজুতও করতে পারবেন না। ফলে প্রস্তুতকারীর থেকে বাজি কিনতে গিয়েই তো সময় চলে যাবে।’’

ব্যবসায়ী ও বাজারের আয়োজকেরা জানালেন, শিবকাশি থেকে বাজি কিনে এনে মজুতের জায়গা নেই। আবার ব্যবসায়ীরা বেআইনি বাজি নিয়ে বসলে বাজারের উদ্যোক্তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। কালিকাপুর বাজি বাজারের তরফে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পরিকাঠামো নেই। একাধিক তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। সবুজ বাজি ভেবে ব্যবসায়ীরা বাজি কিনেছেন। পুলিশ তা নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছে, সবুজ বাজি নয়। ব্যবসায়ীরা আমাদের চেপে ধরেছেন।’’

বাজি বাজারের আয়োজকেরা জানালেন, রাজ্য সরকারের কাছে বাজি মজুতের আলাদা জায়গার দাবি জানানো হবে। বৈঠকে আলোচ্য বিষয়গুলি পুলিশ-প্রশাসনের কাছে ইমেলে পাঠানো হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement