C. V. Ananda Bose

শীঘ্রই মেটানো হবে বাংলার বকেয়া, দিল্লিতে শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই বার্তা দিলেন রাজ্যপাল বোস

বুধবার রাতেই দিল্লি গিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। রাজভবন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:১৫
(বাঁ দিকে) অমিত শাহ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিভি আনন্দ বোস।

(বাঁ দিকে) অমিত শাহ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।

কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের ‘বকেয়া’ আদায় নিয়ে শুক্রবার থেকে রেড রোডে ধর্নায় বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানালেন, রাজ্য প্রশাসন কেন্দ্রীয় সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়ম মানলে শীঘ্রই বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়া হবে। ঘটনাচক্রে, দু’দিনের ধর্না কর্মসূচি শেষ করে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতাও দিল্লি যাচ্ছেন।

Advertisement

গত অক্টোবরে ‘বকেয়া’র বিষয় নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পরে দিল্লি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। রাজভবন সূত্রে খবর, তখনও কেন্দ্রের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় বাংলার ‘বকেয়া’র বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল জানান, ‘বকেয়া’ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। যদিও সে সব কথা প্রকাশ্যে তিনি বলতে পারবেন না। তবে বাংলার মানুষের কথা ভেবে আলোচনার নির্যাসটুকু জানাতে পারেন। বোস বলেন, ‘‘বাংলার বকেয়া শীঘ্রই মিটিয়ে দেওয়া হবে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার যে নিয়ম বেঁধে দিয়েছে, তা মানতে হবে। রাজ্যের কাছে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের জিজ্ঞাস্য ছিল। রাজ্য তার উত্তর দিচ্ছে। আমিও কিছু বিষয় পর্যালোচনা করেছি। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়টি উত্থাপন করেছি।’’

বুধবার রাতেই দিল্লি গিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। রাজভবন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছু ক্ষণ কথাও হয়েছে। পরে সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন বোস। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে একটি ভিডিয়ো বার্তায় বাংলার মানুষের উদ্দেশে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘বাংলার মানুষকে ন্যায় পাইয়ে দিতে যা যা করার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার তা করছে।’’

গত দু’বছর ধরেই তৃণমূল তথা রাজ্য সরকার বলে আসছে, ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে। বাংলার শাসকদলের আরও অভিযোগ, কাজ করানোর পরেও ‘মনরেগা’র কাজের মজুরি আটকে রেখেছে দিল্লি। পাল্টা বিজেপির বক্তব্য, বাংলায় বিপুল কারচুপি হয়েছে। নবান্ন হিসাব না-দিলে কেন্দ্র নতুন করে টাকা দেবে কেন? তবে এখন আর বঞ্চনার অভিযোগ শুধু ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে আটকে নেই। আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনা নিয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন
Advertisement