Jiban Krishna Saha

সিবিআইয়ের পরে এ বার ইডির আতশকাচের তলায় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ! স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে জল্পনা

গত ১৪ মে সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেয়েছিলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত জীবনকৃষ্ণকে ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৪ ০৮:০০
After CBI another central agency ED may start investigation against TMC MLA Jiban Krishna Saha on recruitment case

জীবনকৃষ্ণ সাহা। —ফাইল চিত্র।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছর সিবিআই গ্রেফতার করেছিল তাঁকে। মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা কি এ বার ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেনে’র অভিযোগে আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডির ‘নিশানা’ হতে চলেছেন? সম্প্রতি তাঁর স্ত্রীকে তলব করে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে একটি সূত্রের দাবি। তার পরেই দানা বেঁধেছে এই জল্পনা।

Advertisement

ইডির একটি সূত্র জানিয়ে, জীবনকৃষ্ণের স্ত্রী টগরির সম্পত্তি নিয়ে ‘খোঁজখবরের’ সূত্রেই তাঁকে জি়জ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। ওই সূত্রের দাবি, জীবনকৃষ্ণকেও সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে। জীবনকৃষ্ণের ‘পুকুরে ছুড়ে ফেলা মোবাইল’ থেকে যে তথ্য পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল বলে দাবি, তাতে ‘টাকা ফেরতের’ প্রসঙ্গ রয়েছে বলে জানিয়েছিল সিবিআই। সে ক্ষেত্রে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টাকা লেনদেনের বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারে ইডি।

গত বছরের ১৪ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণের কান্দির বাড়িতে টানা তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। চলে তৃণমূল বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ। অভিযোগ, সেই জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশির ফাঁকে তাঁর ব্যবহার করা দু’টি মোবাইল ফোন বাড়ির পিছনে পুকুরের জলে ফেলে দিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। জল থেকে জীবনের ফোন খুঁজে বার করতে বেগ পেতে হয় তদন্তকারীদের। তার পর ১৭ এপ্রিল মধ্য রাতে কলকাতা থেকে সিবিআইয়ের আরও একটি দল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে জীবনকৃষ্ণের কান্দির বাড়িতে পৌঁছয়। গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। দু’দিন ধরে পাম্প চালিয়ে পুকুর থেকে জল ছেঁচে, কাদা ঘেঁটে উদ্ধার করা হয় ওই দু’টি ফোন। মোবাইল দু’টি থেকে বিভিন্ন তথ্য পুনরুদ্ধার করা হয় বলে পরে জানায় সিবিআই। যদিও জীবনকৃষ্ণ মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ স্বীকার করেননি।

লোকসভা ভোটপর্বের মাঝে গত ১৪ মে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি জীবনকৃষ্ণের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রায় ১৩ মাস পরে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে জামিন পাওয়ার পর গত ১৬ মে প্রথম বার রাজ্য বিধানসভা ভবনে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ। কিন্তু সেখানে বিচারাধীন ওই মামলা নিয়ে কিছু বলতে চাননি তিনি। মুর্শিদাবাদের পড়শি জেলা বীরভূমের দেবগ্রাম হাই স্কুলে সহকারী শিক্ষক জীবনকৃষ্ণ এর পর গত ২৬ জুন তাঁর কর্মক্ষেত্রে গিয়ে পড়ুয়াদের ক্লাসও নিয়েছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement