Abhishek Banerjee

নতুন তৃণমূলের প্রধান মুখ বলেই কি বার বার তলব? ব্যাখ্যা দিয়ে অভিষেকের জবাব, মুখ শুধুই মমতা

শুক্রবার ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিষেক। বার বার তাঁকে তলব করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ‘নতুন তৃণমূলের প্রধান মুখ’ বলেই কি বার বার জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:১৯
ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিষেক।

ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিষেক।

তৃণমূলের একটিই মুখ— মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, ব্যাখ্যা দিলেন ‘নতুন তৃণমূল’-এর।

শুক্রবার তৃতীয় বার ইডির জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিষেক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলবের মুখে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দু’বার সিবিআই এবং এক বার ইডি তাঁকে জেরা করেছে। তিনি ‘নতুন তৃণমূলের প্রধান মুখ’ বলেই কি বার বার এই তলব? এই ‘আক্রমণ’? অভিষেক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূলের মুখ একটাই— তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

শুক্রবার ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিষেক। তখনই তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘নতুন তৃণমূলের প্রধান মুখ’ বলেই কি বার বার জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে? প্রসঙ্গত, ধূপগুড়ির একটি সভার প্রথম এই ‘নতুন তৃণমূল’-এর প্রসঙ্গ তুলেছিলেন তিনি। শুক্রবার অভিষেকের সেই মন্তব্য তুলে ধরেই তাঁকে ওই প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। শুরুতেই তাঁদের থামিয়ে অভিষেক জানিয়ে দেন, তাঁর কাছে ‘নতুন তৃণমূল’ আসলে কী। তা বোঝাতে গিয়েও প্রথমে অভিষেক স্পষ্ট করে দেন, ‘‘তৃণমূলের মুখ শুধুই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’

তার পরেই ধূপগুড়ির সভার প্রসঙ্গ টেনে ব্যাখ্যা দেন নতুন তৃণমূল নিয়ে। অভিষেক বলেন, ‘‘নতুন তৃণমূল মানে কী? আমি ধূপগুড়ির সভা থেকে বলে আসছি, মানুষ যে ভাবে তৃণমূলকে দেখতে চান, সেই রূপে তাকে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আগামী ছ’মাসের মধ্যে নতুন তৃণমূলকে মানুষ যাতে দেখতে পান, তার জন্য যা করার আমরা করব। ব্লক কমিটিতে যখন পরিবর্তন হচ্ছে, তা দেখে আপনারা নিজেরাও বুঝতে পারবেন।’’

তার পরেই অভিষেক বলেন, ‘নতুন তৃণমূল’ অতীতের তৃণমূল থেকে আলাদা নয়। বরং নেত্রী মমতার হাতে তৈরি সেই তৃণমূলকেই তিনি ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর। তাঁর কথায়, ‘‘যে মা-মাটি-মানুষের তৃণমূলকে প্রথম বার ২০১১ সালে ক্ষমতায় এনেছিলেন মানুষ, যে তৃণমূল সিপিএম নামক জগদ্দল পাথরকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল, যে তৃণমূল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো বাংলার বুকে জাঁকিয়ে বসা সিপিএমকে ছা়রখার করে, চূর্ণ-বিচূর্ণ করে সরকার গড়েছিল, সেই তৃণমূলের কথা বলেছিলাম। যে তৃণমূল আত্মসমর্পণ করে না, সেই তৃণমূলের কথা বলেছিলাম। যে তৃণমূল নির্ভীক ভাবে বাংলার মানুষের জন্য কাজ করবে, মাঠে-ঘাটে নেমে অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করবে, সেই তৃণমূলের কথা বলেছিলাম।’’

সেই তৃণমূলের সদস্য হওয়ার কারণেই যে তিনি ‘নিশানায়’, সে কথাও বলেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘‘আমাকে আক্রমণ করলে করবে। যে গাছের ফল মিষ্টি, সেই গাছেই লোকে ঢিল মারে। আপনি আম গাছে ঢিল মারেন, লিচু গাছে ঢিল মারেন। আপনি কি করোলা গাছে ঢিল মারেন? মারেন না। কদম গাছে মারেন? মারেন না। আপেল গাছে মারেন। কারণ ফল মিষ্টি।’’

প্রসঙ্গত, আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক এবং ইউটিউব লাইভ ‘অ-জানা কথা’-তে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, ‘‘নতুন তৃণমূল মানে অভিষেক চাইছেন, ২০১১ সালের তৃণমূলকে ফিরিয়ে আনতে। যে দল মানুষের আশা-ভরসার ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। ক্ষমতায় থাকলে মেদ হয়। সেই মেদ ঝরিয়ে ২০১১ সালের তৃণমূলকে ফিরিয়ে আনতে চাইছেন অভিষেক।’’ শুক্রবার সে কথাই বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক।

আরও পড়ুন
Advertisement