Howrah Fire Incident

সাড়ে চার ঘণ্টা পর হাওড়ার ডোমজুড়ে রাসায়নিক কারখানায় আগুন নিয়ন্ত্রণে, সামলাতে হিমশিম খেতে হয় দমকলকে

হাওড়ার ডোমজুড়ে একটি রাসায়নিক কারখানায় আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। ইতিমধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের একটি কারখানায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় দমকলকে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:২২
ডোমজুড়ে রাসায়নিক কারখানায় আগুন। কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে আশপাশের এলাকা।

ডোমজুড়ে রাসায়নিক কারখানায় আগুন। কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে আশপাশের এলাকা। —নিজস্ব চিত্র।

হাওড়ার ডোমজুড়ের উত্তর ঝাপড়দহ এলাকার একটি রাসায়নিক কারখানায় আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়ায়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আশপাশের এলাকা। দ্রুত বেগে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। কিন্তু আগুন এবং ধোঁয়ার ব্যাপ্তি যে ভাবে বাড়ে, তাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় দমকলকর্মীরা। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন দমকলকর্মীরা। ঘটনাস্থলে যান হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী এবং জেলাশাসক পি দীপপ্রিয়া।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ যখন কারখানাটিতে আগুন লাগে। ওই সময় কারখানাটি বন্ধ ছিল। ফলে বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ওএনজিসির এলাকা হলেও কারখানাটি বেসরকারি মালিকানাধীন বলে জানা গিয়েছে। সোমবার দুপুরে কারখানার একাংশ থেকে আগুন এবং ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখে স্থানীয়েরা খবর দেন ডোমজুড় থানায়। ডোমজুড় থানা বিষয়টি দমকলকে জানায়। তবে দমকল আসার আগেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ওই রাসায়নিক কারখানায় অনেক দাহ্য বস্তু, রাসায়নিক ভর্তি ড্রাম থাকায় আগুন দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে মত স্থানীয়দের।

স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যেই কারখানার ভিতর থেকে ছোটখাটো বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছিল। বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে যায় কারখানার ছাদ। আশপাশের গ্রামগুলির বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলা হয়। চার কিলোমিটার দূর থেকেও কালো ধোঁয়া দেখা যায় বলে দাবি করেছেন কেউ কেউ। ওই কারখানার পাশেই আরও কয়েকটি ছোট-বড় কারখানা রয়েছে। আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা না-গেলে বিপদ বৃদ্ধির আশঙ্কাও ছিল। সামেনর হোগলাবন এবং একটি ছোট কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে দমকল। পুলিশের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামানো হয় র‌্যাফও। ড্রোনের মাধ্যমের আগুনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।

কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে নাসিম হোসেন বলেন, ‘‘শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে। আমাদের কারখানায় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল। আমরা দেড় ঘণ্টা ধরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছিলাম। দমকল সময়ে আসেনি, ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।’’ তবে সেই অভিযোগ মানতে নারাজ জেলাশাসক। তিনি জানান, দমকল দেরিতে আসার অভিযোগ ঠিক নয়। সঠিক সময়েই ১৫টি ইঞ্জিন আসে। সাড়ে চার ঘন্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।কোনও হতাহতের খবর নেই। তবে কী কারণে এত বড় ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখা হবে জানালেন জেলাশাসক।

Advertisement
আরও পড়ুন