Wayanad landslide

ওয়েনাড়ে আটকে বঙ্গের ২৪২ শ্রমিক, ১৫৫ জনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, বাকিদেরও খোঁজে রাজ্য

কেরলের ওয়েনাড়ে বিপর্যয়ে বেড়েই চলেছে হতাহতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে সেখানে বঙ্গের শ্রমিকেরা কী অবস্থায় রয়েছেন, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে শুক্রবার বিধানসভায় জানালেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৪ ১৪:৩৮
ধসে বিপর্যস্ত কেরল।

ধসে বিপর্যস্ত কেরল। ছবি: এএফপি।

কেরলের ওয়েনাড়ে ধস বিপর্যয়ে ক্রমশ বেড়েই চলেছে হতাহতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে ওয়েনাড় জেলায় বঙ্গের শ্রমিকেরা কী অবস্থায় রয়েছেন, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে শুক্রবার বিধানসভায় জানালেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক।

Advertisement

বাংলার কত জন শ্রমিক কেরলে কাজে গিয়েছেন, তাঁরা সেখানে কী অবস্থায় রয়েছেন, তা জানতে চেয়ে বিধানসভায় প্রশ্ন করেছিলেন হিঙ্গলগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল। তার জবাবে শ্রমমন্ত্রী মলয় জানান, রাজ্যের মোট ২৪২ জন শ্রমিক ওয়েনাড়ে রয়েছেন। সেই তথ্য রাজ্যের কাছে রয়েছে। ওই ২৪২ জনের মধ্যে ১৫৫ জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁরা সুস্থই রয়েছে। বাকিদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। মন্ত্রী জানান, আটকে থাকা শ্রমিকদের বেশির ভাগই আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, দুই মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কেরলে কাজে গিয়েছিলেন শ্রমিকেরা। যে হেতু এ রাজ্যের শ্রমিকদের দক্ষতা বেশি, তাই অন্য রাজ্যে তাঁদের চাহিদা বেশি।’’

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এ রাজ্য থেকে বহু মানুষ কেরলে যান কাজ করতে। বহু সংস্থাও শ্রমিক হিসাবে তাঁদের নিয়ে যায়। আগে পরিযায়ী শ্রমিকদের তথ্য সংগ্রহের সেই অর্থে কোনও ব্যবস্থা ছিল না প্রশাসনের কাছে। কিন্তু কোভিডের পর থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের তথ্য জোগাড়ে সচেষ্ট রাজ্য সরকার। পরিযায়ী শ্রমিকদের চিকিৎসা বিমা চালুর সময়ে নাম নথিবদ্ধ করার একটি পোর্টাল তৈরি করা হয়েছিল। সেখান থেকেও কিছু তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু শ্রমিকেরা বর্তমানে কোথায় কী অবস্থায় রয়েছেন, তা জানার কোনও উপায় সে ভাবে নেই। ফলে সকলের সঙ্গেই আলাদা করে যোগাযোগ করতে হয় এ ক্ষেত্রে।

টানা বৃষ্টিতে কেরলের ওয়েনাড়ের মুন্ডাক্কাই, ছুরালমালা, আট্টামালা এলাকায় পাহাড় ধসে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটেছে। হতাহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। অনেককেই এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাঁদের মধ্যে এ রাজ্যের কোনও বাসিন্দা রয়েছেন কি না, প্রশ্ন উঠছিল তা নিয়ে। প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, এ নিয়ে জেলা প্রশাসনগুলিকে চোখকান খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্পষ্ট নির্দেশ, কারও সম্পর্কে খোঁজ পেলেই তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

প্রসঙ্গত, ওয়েনাড়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে তৃণমূল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব এবং সাকেত গোখলে ওয়েনাড়ে যাচ্ছেন শুক্রবারই।

আরও পড়ুন
Advertisement