Protest

‘পুলিশি অত্যাচার’, ঝাঁটা হাতে ভাঙড়ে বিক্ষোভ মহিলাদের

স্থানীয় সূত্রের খবর, কাঁটাডাঙা, চকমরিচা, মাঝেরাইট, ভুমরু, নিমকুড়িয়া, কাঁঠালিয়া-সহ বিভিন্ন গ্রাম কার্যত পুরুষশূন্য। অনেকেই গ্রেফতারি এড়াতে বাড়িতে না থেকে অন্যত্র থাকছেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
ভাঙড়  শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৩ ০৬:৫৮
ভাঙড়ের কাঁটাডাঙ্গা গ্রামে পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে মহিলাদের ঝাঁটা নিয়ে বিক্ষোভ।

ভাঙড়ের কাঁটাডাঙ্গা গ্রামে পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে মহিলাদের ঝাঁটা নিয়ে বিক্ষোভ। — নিজস্ব চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকেই গোলমাল লেগে রয়েছে ভাঙড়ে। পুলিশের উপর হামলা, রাজনৈতিক সংঘর্ষ, খুন, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজে প্রায় প্রতি রাতেই বিভিন্ন গ্রামে চলছে পুলিশি অভিযান। কিন্তু অভিযানের নামে পুলিশ অত্যাচার চালাচ্ছে, এই অভিযোগে সোমবার ভাঙড়ের কাশীপুর থানার কাঁটাডাঙা গ্রামে ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা। পুলিশ অভিযোগ মানেনি।

স্থানীয় সূত্রের খবর, কাঁটাডাঙা, চকমরিচা, মাঝেরাইট, ভুমরু, নিমকুড়িয়া, কাঁঠালিয়া-সহ বিভিন্ন গ্রাম কার্যত পুরুষশূন্য। অনেকেই গ্রেফতারি এড়াতে বাড়িতে না থেকে অন্যত্র থাকছেন। এ দিন কাটাডাঙা গ্রামের মহিলারা বিক্ষোভের পাশাপাশি মিছিলও করেন। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ বেছে বেছে আইএসএফ কর্মীদের গ্রেফতার করছে।

Advertisement

ওই গ্রামের বাসিন্দা রওশনারা খাতুন বলেন, “আমার স্বামী অহিদুল মোল্লা আইএসএফের টিকিটে পঞ্চায়েত সমিতির আসনে জিতেছেন। কিন্তু যে ভাবে পুলিশ গ্রামে অত্যাচার চালাচ্ছে, তাতে তিনি বাড়িতে থাকতে পারছেন না। কখনও কখনও সাদা পোশাকে বাইরের লোকজন গ্রামে ঢুকছে। বুঝতে পারছি না, তারা পুলিশের লোক নাকি তৃণমূলের গুন্ডা!” মহিলাদের দাবি, বর্ষার সময় সাপ, পোকামাকড়ের উপদ্রবের মধ্যেই মাঠে-ঘাটে কাটাতে হচ্ছে বাড়ির ছেলেদের। বিপদের ঝুঁকি রয়েছে। পুলিশ গ্রামে ঢুকে অত্যাচার করলে ঝাঁটা, বঁটি নিয়ে তাড়া করার হুমকিও দেন তাঁরা।

বারুইপুর পুলিশ জেলার এক কর্তা বলেন, “পুলিশ অন্যায় ভাবে কারও উপর অত্যাচার করছে না। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এবং উপযুক্ত প্রমাণ-সহ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। মূল অভিযুক্তদের আড়াল করতেই ওঁরা এ সব করছেন।”

আইএসএফের ভাঙড় ২ ব্লক সভাপতি রাইনুর হকের অভিযোগ, ‘‘পুলিশ দলদাস হয়ে কাজ করছে। পুলিশের ভূমিকা নিরপেক্ষ নয়। পুলিশি অত্যাচারে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত।’’ একইসঙ্গে অবশ্য তিনি বলেন, ‘‘যারা প্রকৃত দোষী,তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগব্যবস্থা নিক পুলিশ। কিন্তু কোনও ভাবেই যেন সাধারণ মানুষকে হয়রানি না করা হয়।’’

ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা হাকিমুল ইসলাম বলেন, “যারা পুলিশের উপর হামলা করেছে, পুলিশ কি তাদের ছেড়ে দেবে? ১৪৪ জারি থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে গ্রামে মিছিল হল? পুলিশকে অনুরোধ করব বিষয়টি দেখার জন্য।”

আরও পড়ুন
Advertisement