Murder

ভাইফোঁটা দিতে যেতে চেয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া! বধূকে বিষ খাওয়ানোর অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে

সুমিতা হালদার ভাইফোঁটা দিতে বাপের বাড়ি যাওয়ার জন্য স্বামীকে জানালে, তা নিয়ে ফের বচসা শুরু হয়। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাপের বাড়িতে ফোন করে জানান, তাঁদের মেয়ে বিষ খেয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ২২:২৩
representational image of death

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ভাইফোঁটা দেওয়ার জন্য বাপের বাড়ি যাওয়া নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বচসা তরুণীর! তার জেরে গৃহবধূকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। বুধবার ডায়মন্ড হারবার থানার অম্বলহাড়া এলাকার ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বধূর নাম সুমিতা মণ্ডল। মন্দির বাজারের বিদ্যাধরপুর এলাকায তাঁর বাপের বাড়ি। তিন বছর আগে তাঁর সঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের অম্বলহাড়ার বাসিন্দা ছোট্টু হালদারের বিয়ে হয়। মৃত বধূর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণের টাকা চেয়ে প্রায়ই অশান্তি করতেন ছোট্টু। বিয়ের তিন বছর হয়ে গেলেও তাঁদের কোনও সন্তান হয়নি। গত সোমবার ছোট্টুর বাড়িতে কার্তিক ঠাকুর ফেলে দিয়ে যান প্রতিবেশীরা। এই নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা শুরু হয়।

এর পর সুমিতা হালদার ভাইফোঁটা দিতে বাপের বাড়ি যাওয়ার জন্য স্বামীকে জানালে, তা নিয়ে ফের বচসা শুরু হয়। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাপের বাড়িতে ফোন করে জানান, তাঁদের মেয়ে বিষ খেয়েছে। ঘটনার পর বাপের বাড়ির লোকজন হাসপাতালে পৌঁছন। তখনও জীবিত ছিলেন সুমিতা। তিনি বাপের বাড়ির লোকজনকে জানান, তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন জোর করে তাঁকে বিষ খাইয়ে দিয়েছেন। বুধবার ভোর রাতে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই বধূর।

ঘটনায় ছোট্টু এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বাপের বাড়ির লোকজন। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরা। অন্য দিকে, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement