প্রাকৃতিক দুর্যোগে কপিলমুনি মন্দিরের সামনে এমনই ভাঙন দেখা দিয়েছিল। ফাইল চিত্র।
গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির মন্দির চত্বরে ভাঙন রোধে বার বার উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু সবই কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। জলে গিয়েছে কোটি কোটি টাকা। সূত্রের খবর, এ বার ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে চেন্নাই আইআইটি-র শরণাপন্ন হয়েছে রাজ্য সরকার।
সূত্রের খবর, দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে চেন্নাই আইআইটির সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে রাজ্য। ইতিমধ্যে চেন্নাই আইআইটির অধ্যাপক মুরলি বাবুর সঙ্গে গঙ্গাসাগরে ভাঙনের স্থায়ী সমাধানের বিষয়ে প্রাথমিক কথা হয়েছে সেচ দফতরের। খবর, শীঘ্রই এ ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর হবে। তারপরেই গঙ্গাসাগরে ভাঙন নিয়ে কাজ শুরু করবেন মুরলি বাবু।
গত কয়েক বছরে বার বার ভাঙনের কবলে পড়ে সমুদ্র থেকে মন্দিরের দূরত্ব ক্রমশ কমেছে। সম্প্রতি কটালে আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে মন্দিরের সামনে। ১ থেকে ৪ নম্বর স্নানঘাট পর্যন্ত উপকূলের তট ও বাঁধ ভেঙেছে। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলা পরবর্তী সময়ে গঙ্গাসাগরে ১১৯২ মিটার নদীবাঁধে ভাঙন ধরেছে। তা মেরামতের জন্য ইতিমধ্যে দরপত্রও ডাকা হয়েছে। প্রায় ৪৩১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বাঁধ মেরামত হবে। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে মেরামতির কাজ শুরু হবে।
সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইঞা বলেন, “গোটা সাগর ও সংলগ্ন এলাকা নিয়ে সামগ্রিক পর্যালোচনা হয়েছে। সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার দায়িত্বে আছেন। শীঘ্রই সমীক্ষা সেরে রিপোর্ট দেবেন। তারপরই কাজ শুরু হবে।”
সম্প্রতি লোকসভা অধিবেশনে মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার গঙ্গাসাগরের ভাঙন নিয়ে সরব হন। এলাকার বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, “রাজ্য সরকার কপিলমুনি মন্দিরের সামনে ভাঙন আটকানোর চেষ্টা করছে। সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় কংক্রিটের বাঁধও হচ্ছে।”