Traffic Jam at Diamond

যানজট এড়াতে ডায়মন্ড হারবার শহরের মূল রাস্তায় বন্ধ টোটো

পুরসভা থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, টোটো চালকদের নতুন বাইপাস রোড ধরে যাতায়াত করতে হবে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪ ০৯:২৬
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ডায়মন্ড হারবার শহরে প্রতি দিন যানজটের মুখে পড়তে হয় মানুষজনকে। তার মূল কারণ, টোটো এবং অটোর দৌরাত্ম্য। এই পরিস্থিতি বদলাতে পুরসভা থেকে যানজট এড়াতে সমস্ত টোটো শহরে ঢোকা বন্ধ করা হয়েছে কয়েক দিন আগে।

Advertisement

পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুর এলাকায় রয়েছে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক। মূলত, মুল সড়কের জেটিঘাট মোড় থেকে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত শহরের প্রাণকেন্দ্র। এই প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে টোটো চলে আড়াই হাজারেরও বেশি! তারা যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলা এবং নামানোয় যানজটে দুর্ভোগ বাড়ে। ডায়মন্ড হারবার স্টেশন থেকে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রোগী নিয়ে যেতেও যানজটে আটকে পড়তে হয় মানুষকে।

পুরসভা থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, টোটো চালকদের নতুন বাইপাস রোড ধরে যাতায়াত করতে হবে। জেটিঘাট থেকে টোটো এসে বাটা পাম্পের মোড় থেকে ভিতরে ঢুকে বাইপাস ধরে যাবে কপাটহাট, টোল ট্যাক্স মোড় পর্যন্ত। আবার কপাট থেকে টোটো যাতায়াত করবে টোল ট্যাক্স পর্যন্ত। তাতে শহরের মূল
কেন্দ্রে যানজট এড়ানো যাবে বলে কর্তৃপক্ষের আশা।

পুরপ্রধান প্রণব দাস বলেন, ‘‘উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে এবং এলাকার মানুষের সুবিধার কথা ভেবে শহরে টোটো ঢোকা বন্ধ করা হয়েছে। তারা বাইপাস রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করবে। তবে রিজ়ার্ভ করা টোটো শহরের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। কারণ, কোনও ক্ষেত্রে রোগীকে বহন করতে হতে পারে।’’

গত দু’দিন ধরে টোটো বন্ধ থাকায় শহর কার্যত যানজট শূন্য। স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকেই খুশি। তবে ভিন্ন প্রতিক্রিয়াও আছে। স্টেশনে নেমে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, মহকুমা প্রশাসনের অফিস, জেটিঘাট সহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে টোটো ধরেন অনেকেই। হাসপাতাল মোড় থেকে জেটিঘাট পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে টোটো ছাড়া অন্য যান চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা নেই। হাতেগোনা কয়েকটি ভ্যান রিকশা চলে। ফলে হঠাৎ টোটো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য, যানজট কমাতে টোটো বন্ধ করলে বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে হবে।

ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি নেতা দেবাংশু পন্ডা বলেন, ‘‘শহরে অটো, টোটোর দৌরাত্ম্যে যানজট হয়। পুর প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় দিন দিন টোটোর সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছিল। পুরসভা থেকে টোটো বন্ধ করায় যানজট এড়ানো যাবে। কিন্তু বিকল্প পরিবহণের ব্যবস্থা করা দরকার। সমস্যায় পড়েছেন টোটো চালকেরাও। এক চালক জানান, তাঁরা পুর এলাকার বাসিন্দা। পঞ্চায়েত এলাকা থেকে কিছু টোটো এসে যানজট করে। পুরসভা থেকে স্থানীয় টোটোগুলি চলাচলের ব্যবস্থা করলে ভাল।

আরও পড়ুন
Advertisement