CPM-TMC

দেগঙ্গায় সিপিএমের পার্টি অফিস পুড়ে খাক! আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে

সিপিএমের দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এলাকার ২৩৩ নম্বর বুথটি দখল করতে পারেনি তৃণমূল। কারণ, দলীয় কর্মীরা শাসক-বাহিনীকে প্রতিহত করেছিল। সিপিএমের পার্টি অফিস পুড়িয়ে তারই বদলা নেওয়া হল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
দেগঙ্গা শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:২০

—নিজস্ব চিত্র।

রাতের অন্ধকারে সিপিএমের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়। চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের খাঁরাটি সুবর্ণপুর এলাকায় সিপিএমের একটি পার্টি অফিস ছিল। রবিবার সকালে দেখা গেল, সেটি আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত। তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, সিপিএম-আইএসএফের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

সিপিএমের দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এলাকার ২৩৩ নম্বর বুথটি দখল করতে পারেনি তৃণমূল। কারণ, দলীয় কর্মীরা শাসক-বাহিনীকে প্রতিহত করেছিল। সিপিএমের পার্টি অফিস পুড়িয়ে তারই বদলা নেওয়া হল। দেগঙ্গা ২ নম্বর এরিয়া কমিটির সিপিএমের সদস্য আব্দুল গফফর পুরকাইত বলেন, ‘‘গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের তৃণমূলের সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করে ২৩৩ নম্বর বুথ সিপিএম দখল করে। আর এই ঘটনার পর থেকে সিপিএমের উপর তৃণমূলের অত্যাচার শুরু হয়।’’ সিপিএমকে জব্দ করতে সংগঠনকে ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পার্টি অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি আব্দুলের। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দলের একাধিক নথিপত্র, কমরেড জ্যোতি বসুর ছবি ছিল। তা-ও পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। প্রশাসন তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি না দিলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’’

অভিযোগ উড়িয়ে চাকলা অঞ্চল তৃণমূলের আহ্বায়ক ওমর ফারুক বলেন, ‘‘গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আইএসএফ-সিপিএম একসঙ্গে জোট করে ওই বুথ দখল করেছিল। বর্তমানে আইএসএফ-সিপিএমের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেধেছে। তার জেরে এই ঘটনা। এখন তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement