Royal Bengal Tiger

রাতভর বাঘের গর্জন! দেখা গেল পায়ের ছাপ, কুলতলিতে দক্ষিণরায়ের আগমনের খবরে চাঞ্চল্য

স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করতে মাইকিং শুরু করা হয়েছে। এ ছাড়া জঙ্গল এলাকা জাল দিয়ে ঘেরার কাজও শুরু হয়েছে। যাতে কোনও ভাবেই বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়তে না পারে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কুলতলি শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:১৯
representational image

— প্রতীকী ছবি।

সুন্দরবনের লোকালয়ে বাঘের আতঙ্ক। এ বারও ঘটনাস্থল সেই কুলতলি। বাঘের ঘন ঘন গর্জনে রাতে একদণ্ডও ঘুমোতে পারেননি বাসিন্দারা। দেখা গিয়েছে পায়ের ছাপও। দিনের আলো ফুটতেই ভয় আরও জাঁকিয়ে বসেছে। জাল দিয়ে জঙ্গল ঘেরার কাজ শুরু হয়েছে।

Advertisement

গত সপ্তাহেই বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছিল পাথরপ্রতিমায়। কুলতলিতেও বাঘের গর্জন শুনে ঘুম উড়েছিল বাসিন্দাদের। মাস ঘুরতে না ঘুরতে আবার সে হাজির। কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ কোস্টাল থানার গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বর অঞ্চলের গৌড়েরচক এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখেছেন এলাকার বাসিন্দারা। অনেকেই দাবি করছেন, রাতভর তাঁরা বাঘের গর্জনও শুনেছেন। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বন দফতর এবং পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করতে মাইকিং শুরু করা হয়েছে। এ ছাড়া জঙ্গল এলাকা জাল দিয়ে ঘেরার কাজও শুরু হয়েছে। যাতে কোনও ভাবেই বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়তে না পারে। বন দফতরের একাংশ প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন, বাঘটি খাবারের খোঁজে লোকালয়ে ঢুকে পড়তে পারে। তাকে ফের গভীর জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে।

এ দিকে বাঘের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে এলাকার বাসিন্দাদের। কয়েক দিন আগেই এই এলাকায় বাঘ এসেছিল। ফের বাঘ চলে আসার ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন দফতরের কর্মী জানাচ্ছেন, গভীর জঙ্গল থেকে যাতে বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়তে না পারে সে জন্য জাল দেওয়া থাকে। বাঘ সাধারণত জাল ছেঁড়ে না। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা বিভিন্ন প্রয়োজনে জঙ্গলের কোর এরিয়ায় ঢোকেন জাল ছিঁড়ে। কিন্তু সেই ছেঁড়া জাল আর মেরামত করা হয় না। সেই খবর সব সময় থাকে না বন দফতরের কাছেও। আর ছেঁড়া জালের ফাঁক গলেই লোকালয়ে ঢুকে পড়ে বাঘ। কুলতলির ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন
Advertisement