Sagar Mahavidyalaya

নাক-এর মূল্যায়ন, সাগর মহাবিদ্যালয় পেল সি-গ্রেড

কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে বহু দিন ধরে স্থায়ী অধ্যক্ষ ছিলেন না। ২০২৩ সালে প্রথম স্থায়ী অধ্যক্ষ আসেন। এরপর থেকে কলেজে বিভিন্ন বিষয়ে উন্নতি হয়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
সাগর শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:২৮
সাগর মহাবিদ্যালয়।

সাগর মহাবিদ্যালয়।

নাক-এর মূল্যায়নে সি-গ্রেড পেল সুন্দরবনের সাগর মহাবিদ্যালয়।

Advertisement

এ বারই প্রথম নাকের মূল্যায়ন করানো হয় এই কলেজর। প্রাথমিক পর্ব উত্তীর্ণ হওয়ার পরে নভেম্বর মাসে তিন সদস্যের পরিদর্শক দল আসে কলেজে। ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর কলেজ পরিদর্শন করেন তাঁরা। মঙ্গলবার ফলাফল ঘোষণা হয়েছে।

কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে বহু দিন ধরে স্থায়ী অধ্যক্ষ ছিলেন না। ২০২৩ সালে প্রথম স্থায়ী অধ্যক্ষ আসেন। এরপর থেকে কলেজে বিভিন্ন বিষয়ে উন্নতি হয়। কলেজ চত্বরে বিভিন্ন জায়গায় বাগান তৈরি হয়েছে। জেনারেটর ব্যবস্থা আছে। পানীয় জল ব্যবহারের সময়ে অতিরিক্ত জল মাটির নীচে পাঠানোর ব্যবস্থা আছে। কেঁচো থেকে জৈব সার তৈরি করে সেই সার কলেজের বাগানে ব্যবহার হচ্ছে। মাদকবিরোধী প্রচার চলে। প্রতি বছর গঙ্গাসাগর মেলার সময়ে কলেজের এনসিসি ও এনএসএস-এর ছাত্রছাত্রীরা মেলা প্রাঙ্গণ ও সমুদ্রতটে পুণ্যার্থীদের জল বিতরণ করেন। কেউ হারিয়ে গেলে তাঁকে তথ্য কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়, পথনির্দেশ দেন ছাত্রছাত্রীরা।

এ ছাড়াস কলেজে ভূগোল, রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, জ়ুলজি ও বটানি বিভাগের পরীক্ষাগার রয়েছে। পুরো কলেজ চত্বর প্লাস্টিকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

কলেজ সূত্রের খবর, বর্তমানে কলেজে বাংলা, ইংরেজি, ভূগোল, সংস্কৃত, ইতিহাস, শিক্ষাবিজ্ঞান সহ ১৩টি বিষয় পড়ানো হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকা ৪৪ জন অধ্যাপক রয়েছেন। প্রায় ১৪ হাজারের কাছাকাছি বই রয়েছে গ্রন্থাগারে।

১৯৯৮ সালে এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন প্রাক্তন বিধায়ক প্রভঞ্জন মণ্ডল। শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানালেন, সিলেবাসের বাইরেও জ্ঞানের জগৎ সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের শেখানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। শারীরিক-মানসিক ভাবে দৃঢ়তা তৈরির চেষ্টা থাকে।

অধ্যক্ষ সুরজিৎ বারি বলেন, ‘‘শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী, ছাত্রছাত্রী ও পরিচালন সমিতির নিরলস প্রয়াসে এই ফলাফল সম্ভব হল। পরিচালন কমিটির সভাপতি, মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরাও সাহায্য করেছেন। নাকের প্রতিনিধিরা কলেজে এসে নিজেরা সমস্ত কিছু খুঁটিয়ে দেখেন। তাঁরা শিক্ষক পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এই সাফল্যে আমরা খুশি। এরপরে এ-গ্রেড পাওয়ার চেষ্টা থাকবে আমাদের।’’

শিক্ষক শিবম দয়াল চৌধুরী, প্রদীপকুমার দাসেরা বলেন, ‘‘এটা আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল।’’

মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরার কথায়, ‘‘কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে পঠনপাঠন থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু তথ্য খতিয়ে দেখে নাকের প্রতিনিধি দল এই মূল্যমান নির্ধারণ করেছেন। পরে আরও উন্নতি হবে কলেজের।’’

আরও পড়ুন
Advertisement