WB Panchayat Election 2023

শহর নিউ টাউনের ভোটে সিঁদুরে মেঘ ‘বহিরাগতের’

শহর নিউ টাউন কেন পঞ্চায়েত এলাকায় ঢুকবে, তার প্রতিবাদে ‘নিউ টাউন নিউজ় ও ফোরাম’ নামে আবাসিকদের একটি সংগঠন ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে পোস্টার সেঁটেছে।

Advertisement
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৩ ০৭:৪৫
নিউ টাউনের পঞ্চায়েত এলাকায় সমস্যায় শাসক দল।

নিউ টাউনের পঞ্চায়েত এলাকায় সমস্যায় শাসক দল। — ফাইল চিত্র।

শাসকদলের সিংহ ভাগ ‘বহিরাগত’ প্রার্থী। চলতি রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাদের বিরোধী দলের ৫০ শতাংশও ‘বহিরাগত’। আর তাতেই ভয় শহুরে নাগরিকদের।

প্রথম বার বিরাট কলেবরে শহর নিউ টাউনে পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে। সেখানে আটটি আসনে শাসকদল তৃণমূল নিউ টাউন শহর থেকে মাত্র এক জনকে প্রার্থী করেছে। বাকিরা সবাই নিউ টাউন শহর যে পঞ্চায়েতে ঢুকেছে, সেই জ্যাংড়া-হাতিয়াড়া (২)-এর অধীনে। আর তা নিয়েই উদ্বেগে বাসিন্দারা।

Advertisement

তাঁদের অনেকেরই আশঙ্কা, শহর নিউ টাউনে ভোট ঘিরে কাল, শনিবার বহিরাগতদের ভিড় বাড়বে। যাঁরা আসবেন তাঁদের প্রার্থীদের সমর্থনে। উল্লেখ্য, নিউ টাউনে বরাবর আধিপত্য বিস্তার করে এসেছে সিন্ডিকেট বাহিনী। তাদের বেশির ভাগ সদস্যই শহর নিউ টাউন লাগোয়া এলাকার। সেই বহিরাগতদের কত দূর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে প্রশাসন, আপাতত তাই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে নাগরিকদের মধ্যে।

শহর নিউ টাউন কেন পঞ্চায়েত এলাকায় ঢুকবে, তার প্রতিবাদে ‘নিউ টাউন নিউজ় ও ফোরাম’ নামে আবাসিকদের একটি সংগঠন ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে পোস্টার সেঁটেছে। সংগঠনের চেয়ারম্যান সমরেশ দাসও সেই বহিরাগত তত্ত্বকে সামনে রেখে বলছেন, ‘‘এখানে যা পরিষেবা প্রয়োজন, তা দেয় এনকেডিএ। এখানে পঞ্চায়েত ভোটের দরকার নেই। উল্টে বহিরাগত প্রার্থীদের জন্য বাইরের লোক ঢুকে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করবেন।’’

অতীতে বিধানসভা হোক কিংবা পুরসভা— সব ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, নিউ টাউনেরই পার্শ্ববর্তী বিধাননগর পুর এলাকায় ভোটের দিন বাইকবাহিনী দাপিয়ে বেড়িয়েছে। একই ছবি দেখা গিয়েছিল বিধাননগর পুরসভার অধীন নিউ টাউনের পার্শ্ববর্তী রাজারহাট এলাকাতেও। অতীতে নিউ টাউন শহরে পঞ্চায়েতের দু’টি আসনে ভোট হয়েছে। কিন্তু এ বার আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে আট এবং বুথ বেড়ে হয়েছে ১২। তথ্য বলছে, বিধানসভা নির্বাচনে শহর নিউ টাউনে সব বুথেই লিড নিয়েছিল বিজেপি। তৃণমূল ও সিপিএম দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থান নিয়ে লড়েছিল। এ বার বিজেপি নিউ টাউন শহরে আটটি আসনের মধ্যে শহরের বাইরের চার জনকে প্রার্থী করেছে। ফলে নিউ টাউন শহর দখলে নেওয়ার লড়াইয়ে দুই যুযুধান দল যে মরিয়া হয়ে ঝাঁপাবে, তা বুঝতে পারছেন অনেকেই।

যদিও ভোটের পক্ষে থাকা আবাসিকদের সংগঠন ‘নিউ টাউন সিটিজেন’স ওয়েলফেয়ার ফ্রেটারনিটি’র সম্পাদক সমীর গুপ্তের কথায়, ‘‘বহিরাগতদের ঘিরে গোলমালের আশঙ্কা আমরাও করছি। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। তাই আমরা ভোটদানের পক্ষেই প্রচার চালাচ্ছি। কারণ অশান্তির আশঙ্কায় ভোট দিতে না গেলে আমাদের ভোট অন্য কেউ দিয়ে দেবেন।’’

যদিও বিধাননগর কমিশনারেটের দাবি, তাদের অধীনে যে পাঁচটি পঞ্চায়েত রয়েছে, তার জন্য তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীবরাদ্দ রয়েছে। তার বাইরে পুলিশের বিরাট বাহিনী থাকবে। এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘বেশ কিছু বুথের উপরে আলাদা ভাবে নজরদারি চালানো হবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement