jetty collapse

অর্ধেক জেটি ভেসে গিয়েছে, শুনেও শোনে না প্রশাসন! সমস্যায় সুন্দরবন দ্বীপাঞ্চলের লক্ষ মানুষ

থানা থেকে বিডিও অফিস— প্রশাসনিক এবং সরকারি যে কোনও কাজের প্রয়োজনে মানুষকে ওই খেয়াপথ ধরে যাওয়া-আসা করতে হয়। রাঙাবেলিয়া হাই স্কুল-সহ আশপাশের স্কুলপড়ুয়া, শিক্ষকেরও যাতায়াত এই

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
গোসাবা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:৪৪
Jetty

ঝুঁকির পারাপার। —নিজস্ব চিত্র।

দীর্ঘ দিন ধরে গোসাবা ব্লকের রাঙাবেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জটিরামপুর খেয়াঘাটের বেহাল দশা। কংক্রিটের জেটির নিচের অংশটি বছর আড়াই আগে নদীর জলে ভেসে গিয়েছে। জোয়ারের সময় তেমন সমস্যা না হলেও ভাটার সময় হলে ওই জেটি দিয়ে ওঠানামা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন স্থানীয়রা। সম্প্রতি জেটির আরও একটি অংশ নদীর স্রোতে ভেসে গিয়ে দুর্ভোগ বেড়েছে। যাতায়াত আরও কষ্টকর হয়েছে। ভরা জোয়ার না থাকলে এখন ওই জলপথ দিয়ে চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সমস্যায় পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।

Advertisement

বস্তুত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জটিরামপুরের খেয়া ব্যবহার করে গোসাবার সাতজেলিয়া, লাহিড়ীপুর, কুমিরমারি, ছোটমোল্লাখালি-সহ ছটি দ্বীপের মানুষ গোসাবার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন ওই জলপথের মাধ্যমে। থানা থেকে বিডিও অফিস— প্রশাসনিক এবং সরকারি যে কোনও কাজের প্রয়োজনে মানুষকে ওই খেয়াপথ ধরে যাওয়া-আসা করতে হয়। রাঙাবেলিয়া হাই স্কুল-সহ আশপাশের অন্যান্য স্কুলের পড়ুয়া, শিক্ষকেরও যাতায়াত হয় এই খেয়াপথে। তাঁরা সকলেই এখন বিপদে। বর্তমানে জেটির অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে, তাতে এখান দিয়ে যাওয়া মানেই ঝুঁকি। ভুক্তভোগীরা জানাচ্ছেন, দিনের বেশির ভাগ সময়ই নদীর জলস্তর অনেকটা নেমে যাওয়ার কারণে নৌকা থেকে জেটিতে ওঠানামা করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

কখনও কখনও নৌকা থেকে জেটির উচ্চতা সাত থেকে আট ফুটের মতো হয়ে যাচ্ছে। তখন সম্পূর্ণ যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জরুরি দরকারে জল-কাদায় নেমে পারাপার করতে হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই যন্ত্রণা এবং দুর্ভোগের কথা স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসন থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসন, বিধায়ক— সবাইকে জানানো হলেও সমস্যা সমাধানে কেউ উদ্যোগী হননি। তাঁদের এ-ও দাবি, যে জেটিটি এত গুরুত্বপূর্ণ, সেটি তৈরি না করে অন্য জায়গায় জেটি তৈরি হচ্ছে। সে সব জায়গায় মানুষ কম যান। বস্তুত, পরিকল্পনাহীন ভাবে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন
Advertisement