Gangasagar

বাধ সেধেছে নদী! পুণ্যার্থীরা গঙ্গাসাগরে আসবেন কী ভাবে, তা নিয়ে চিন্তা, জরুরি বৈঠকে মন্ত্রীর

ডিসেম্বরের মধ্যেই মুড়িগঙ্গা নদীতে পলি কাটার কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। নদীতে নতুন করে চর তৈরি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে প্রশাসন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
সাগর শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:৪৭

—ফাইল চিত্র।

মাস দেড়েক বাদে, নতুন বছরে জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে গঙ্গাসাগর মেলা। গত বছর মেলায় প্রায় ৫০ লক্ষ পুণ্যার্থী এসেছিলেন। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, এ বছর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু আচমকাই থমকে গেল প্রস্তুতির কাজ। পুর্ণ্যার্থীরা যে পথে সাগরমেলায় পৌঁছবেন, কাকদ্বীপের সেই মুড়িগঙ্গা নদীতে তৈরি হয়েছে নতুন চর। যার ড্রেজ়িংয়ের কাজে বাধা তৈরি হয়েছে।

Advertisement

ডিসেম্বরের মধ্যেই মুড়িগঙ্গা নদীতে পলি কাটার কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। নদীতে নতুন করে চর তৈরি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে প্রশাসন। এ নিয়ে তড়িঘড়ি বৈঠকেও বসেছেন প্রশাসনিক কর্তারা। সেই বৈঠকে ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত, সেচ দফতরের প্রধান সচিব প্রভাতকুমার মিশ্র। শুক্রবার বিকেলে সাগরে আসেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকও। সেখানে পলি কাটার কাজ খতিয়ে দেখেন তিনি। মুড়িগঙ্গায় দীর্ঘ ক্ষণ জল মাপার কাজও চলে। পার্থ এবং বঙ্কিম দু’জনেই সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁরাই জানান, শুক্রবারই অতিরিক্ত পলি কাটার যন্ত্র বসানো হবে। পার্থ বলেন, ‘‘গঙ্গাসাগর মেলা সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করার জন্য সব রকম পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই মুহূর্তে মুড়িগঙ্গা নদীর মাঝে নতুন করে একটি চর তৈরি হয়েছে। আবার নতুন করে ড্রেজ়িংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। তার প্রস্তুতি আমরা নিয়ে ফেলেছি। মেলার সময় যাতে করে পুণ্যার্থীদের কোনও রকম সমস্যা না হয়, সেটাই দেখা হচ্ছে। মেলার সময় সুষ্ঠু ভাবে ভেসেল চলাচল করতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, নদীতে ড্রেজ়িং চলার জন্য ভেসেল পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে মাঝেমধ্যে। গড়ে ৭-৮ ঘণ্টা তা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এর জেরে চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ সাগরের বাসিন্দাদের।

আরও পড়ুন
Advertisement