Old couple

মত্ত যুবক-যুবতীর তাণ্ডবে অতিষ্ঠ বৃদ্ধ দম্পতি, বিহিত চাইতে খড়দহ থানায় গিয়ে হতাশ, দ্বারস্থ কমিশনারের

দম্পতির দাবি, বার বার প্রতিবাদ করেও কাজ হয়নি। তার পর তাঁরা খড়দহ থানার দ্বারস্থ হন। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বাধ্য হয়ে সত্তরোর্ধ্ব চিঠি লিখলেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
সোদপুর শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:০৫
representative image

— প্রতীকী চিত্র।

প্রতিবেশী যুবক-যুবতীদের তাণ্ডবে ঘরের দরজা-জানলা খুলতে পারেন না। খুললেই উড়ে আসে খালি মদের বোতল, আবর্জনা। বিহিত চেয়ে সোদপুরের বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব স্বপন সেন এবং তাঁর স্ত্রী বেবি সেন দ্বারস্থ হয়েছিলেন পুলিশের। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, পুলিশও নির্বিকার। তাই বাধ্য হয়ে অসহায় দম্পতি চিঠি লিখলেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে। ঘটনার কথা জানতে পেরে স্থানীয় কাউন্সিলর অবশ্য ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা স্বপন সেন এবং বেবি সেন। বেবি কিডনির রোগে ভুগছেন দীর্ঘ দিন, ডায়ালিসিস চলছে। এই ধরনের রোগীর প্রয়োজন বাইরের হাওয়া-বাতাস আসে এমন খোলামেলা ঘর। কিন্তু বৃদ্ধ দম্পতির অভিযোগ, পাশের আবাসনের কিছু মত্ত যুবক-যুবতী এবং আবাসিকদের অত্যাচারে বাড়ির জানলা-দরজা বন্ধ করে গৃহবন্দি অবস্থায় থাকতে হচ্ছে তাঁদের। দম্পতির অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে পাশের আবাসন থেকে যুবক-যুবতীরা মদ্যপান করে সেই বোতল তাঁদের বাড়ির জানলা লক্ষ্য করে ছুড়ে ফেলছেন। আবাসিকরা তাঁদের ঘরের ময়লা, আবর্জনা বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে ফেলছেন। এই অবস্থায় বৃদ্ধ দম্পতি কার্যত গৃহবন্দি।

দম্পতির দাবি, অন্য আবাসিকদের বার বার জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নিরুপায় হয়ে খড়দহ থানার দ্বারস্থ হন বৃদ্ধ দম্পতি। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসনও নির্বিকার। খড়দহ থানার পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। তাই খড়দহ থানার পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।

স্বপন বলেন, ‘‘আমার বাড়ির উল্টো দিকে রাধিকা ভবনের ছাদ থেকে নিয়মিত ভাবে আমার বাড়ির জানলা লক্ষ্য করে মদের বোতল ছোড়া হয়। তার আওয়াজ শুনলে চমকে উঠতে হয়। অনেক বার প্রতিবাদ করেছি। কিছুই কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে লিখিত ভাবে প্রথমে খড়দহ থানা এবং তার পর ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটকে বিষয়টি জানালাম। আশা করছি, এ বার অন্তত বিচার পাব।’’

এ বিষয়ে আগে কোনও খবর পাননি বলে দাবি করেছেন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোমনাথ দে। খবর পাওয়া পর তিনি বলেন, ‘‘অসুস্থ সমাজ তৈরি হতে দেব না। আইন আইনের পথে চলবে। বয়স্ক দম্পতির বিষয়ে আগে আমার জানা ছিল না। এখন জানলাম, থানাতেও অভিযোগ হয়েছে। কে মদ খাবে, তা পুরসভা ঠিক করে দেয় না। কিন্তু পরিবেশ নষ্ট হওয়া ঠেকাতে কাউন্সিলর হিসাবে যা করার, আমি অবশ্যই করব। সমাজকে অসুস্থ করে দেওয়া কিছুতেই বরদাস্ত করব না।’’

আরও পড়ুন
Advertisement