নিউ টাউন এনকাউন্টার-কাণ্ডে ধৃত চার জনের জেরা চলছে ভাঙড় থানায়। নিজস্ব চিত্র।
সোমবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ভাঙড়ের কাশিপুর থানার পুলিশ। এদের মধ্যে ৩ জনকে কাশিপুর থানার চিনা পুকুর থেকে এবং অপর ব্যক্তিকে বসিরহাট এলাকার একটি নিষিদ্ধ পল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ধৃতেরা সকলেই পঞ্জাবের বাসিন্দা। তাদের সঙ্গে নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনে এনকাউন্টার-কাণ্ডের যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে চামকাউর সিংহ ওরফে দাউদকে বসিরহাট থেকে ধরা হয়। আমনদীপ সিংহ, রেশমজিৎ সিংহ এবং জ্যাক সিংহ শর্মাকে ধরা হয় চিনা পুকুর এলাকা থেকে। ধৃতদের ভাঙড় থানায় এনে বারুইপুর জেলা পুলিশ এবং স্পেশাল টাস্কফোর্স-এর কর্তারা জেরা করছেন বলে কাশিপুর থানা সূত্রের খবর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চামকাউর বছর সাতেক আগে নিজেকে দাউদ নামে পরিচয় দিয়ে চিনা পুকুর গ্রামে থাকতে শুরু করে। নিজেকে পশু চিকিৎসক দাবি করে বাড়ির পাশে বেশ কিছু গরু নিয়ে একটি খাটালও তৈরি করেছিল সে। এলাকার বাসিন্দা রাবিয়া বিবিকে বিয়েও করেছিল দাউদ। দম্পতির দুই শিশু সন্তান রয়েছে। কয়েক মাস আগে ‘দাউদের আত্মীয়’ পরিচয় দিয়ে আমনদীপ এবং রেশমজিৎ ওই গ্রামে চলে এসে থাকতে শুরু করেছিল।
সোমবার ভোরে পুলিশি অভিযানের জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। প্রসঙ্গত, বুধবার সাপুরজি আবাসনে পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় পঞ্জাবের দুই গ্যাংস্টার, জয়পাল ভুল্লার এবং যশপ্রীত সিংহের। সাপুরজি আবাসনে গ্যাংস্টারদের থাকার জন্য ফ্ল্যাট ভাড়া করা হয়েছিল মোহালির বাসিন্দা সুমিত কুমারের নামে। ফ্ল্যাট ঠিক করে দিয়েছিল ভরত কুমার। তাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।