Janani Suraksha Scheme

মিলছে না জননী সুরক্ষা যোজনার টাকা, সমস্যায় বহু দরিদ্র পরিবার

স্থানীয় সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে প্রাথমিক ভাবে প্রসবের পরে ৬ হাজার টাকা দেওয়া হত। পরে তা কমিয়ে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছিল।

Advertisement
দিলীপ নস্কর
ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৭
representational image

—প্রতীকী ছবি।

ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলা জুড়ে বছরখানেক ধরে জননী সুরক্ষা যোজনার টাকা পাচ্ছেন না প্রসূতিরা। ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালেই হাজার সাতেক প্রসূতির আবেদন জমা পড়েছে। কেউই টাকা পাননি বলে অভিযোগ। ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতাল, কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতাল-সহ ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার অধীনে দুই মহকুমা মিলিয়ে ১৩টি ব্লক হাসপাতাল ও বহু উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। এই সমস্ত হাসপাতালে নিয়মিত প্রসব হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ, প্রসূতিদের বরাদ্দ টাকা মিলছে না।

Advertisement

দুঃস্থ পরিবারের প্রসূতিদের শারীরিক সুরক্ষা দিতে ২০০৮ সাল নাগাদ কেন্দ্র জননী সুরক্ষা প্রকল্প চালু করেছিল। স্থানীয় সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে প্রাথমিক ভাবে প্রসবের পরে ৬ হাজার টাকা দেওয়া হত। পরে তা কমিয়ে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছিল। গর্ভবতী মহিলাদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে জননী সুরক্ষা যোজনা কার্ড তৈরি করতে হয়। প্রসবের পরে সেই কার্ড-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা করলে ওই টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়। অভিযোগ, বেশ কয়েক মাস ধরে কোনও টাকা ঢুকছে না। মা ও সদ্যোজাতের পুষ্টির কথা মাথায় রেখেই টাকা দেওয়া চালু হয়েছিল। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে টাকা না মেলায় অনেক পরিবারেই মা ও শিশুর পুষ্টির ঘাটতি থেকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।

সম্প্রতি টাকার ব্যাপারে খোঁজ নিতে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে এসেছিলেন মগরাহাট ১ ব্লকের নাজরা গ্রামের বাসিন্দা হাবিবা খাতুন। তিনি বলেন, “ছ’মাস আগে সন্তান হয়েছে। ওর জন্মে পরেই আবেদন করেছি। কিন্তু এখনও কোনও টাকা পাইনি। তাই খোঁজ নিতে এসেছিলাম।”

ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য আধিকারিক জয়ন্ত সুকুল বলেন, “গত বছর স্বাস্থ্য জেলার জন্য ৫৫ লক্ষ টাকা ঢুকেছিল। সব ব্লকে পাঠানো হয়েছিল। তারপর থেকে নতুন করে কোনও টাকা ঢোকেনি। ফের টাকা ঢুকলে পাঠানো হবে।”

জননী সুরক্ষা যোজনা টাকা না আসা প্রসঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক পান্নালাল হালদার বলেন, ‘‘অন্য আরও প্রকল্পের মতো কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের টাকাও আটকে দিয়েছে। গরিব মায়েরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অথচ, ওরা মা-বোনেদের জন্য কত কথা বলে!’’ বিজেপি নেতা সুফল ঘাটুর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল অপপ্রচার চালাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার ওই প্রকল্পের টাকা বন্ধ করেনি।’’

এ বিষয়ে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে দেখছি। সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’

আরও পড়ুন
Advertisement