Acid victim

ভোটকর্মীদের ফেলে যাওয়া অ্যাসিডে জখম চার শিশু

বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তীর ৬ নম্বর সোনাখালি এফপি স্কুলে। চতুর্থ শ্রেণির দুই পড়ুয়া ও দ্বিতীয় শ্রেণির দুই পড়ুয়া জখম হয়েছে। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে শুক্রবার।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বাসন্তী শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৩ ০৭:৫১
অ্যাসিডে পুরে গিয়েছে হাত। বাসন্তীতে।

অ্যাসিডে পুরে গিয়েছে হাত। বাসন্তীতে।

এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে ভরা বর্ষায়। এ সময়ে গ্রমবাংলায় সাপের উপদ্রবের কথা মাথায় রেখেপ্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের ভোট কেন্দ্রে সাপ বা পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে ভোটকর্মীদের কার্বলিক অ্যাসিড দেওয়া হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের তরফে। সেই অ্যাসিডেই ঝলসে গেল চার স্কুল পড়ুয়ার শরীর।

বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তীর ৬ নম্বর সোনাখালি এফপি স্কুলে। চতুর্থ শ্রেণির দুই পড়ুয়া ও দ্বিতীয় শ্রেণির দুই পড়ুয়া জখম হয়েছে। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে শুক্রবার। এই ঘটনার জেরে শুক্রবার স্কুলে আসেনি গ্রামের কোনও ছেলেমেয়ে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এই স্কুলে দু’টি বুথের ভোট নেওয়া হয়। কর্মীরা সঙ্গে এনেছিলেন কার্বলিক অ্যাসিডের বোতল। ভোট-পর্ব মিটে যাওয়ার পরে স্কুলের পাশেই সেই বোতল ফেলে রেখে চলে যান ভোটকর্মীরা। বৃহস্পতিবার স্কুলে এসে খেলা করার সময়ে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী সেই বোতলে জল আছে ভেবে সহপাঠীদের গায়ে ছিটিয়ে দেয়। অ্যাসিড গায়ে পড়তেই শুরু হয় জ্বালা। যন্ত্রণায় চিৎকার করতে করতে শিশুরা স্কুল থেকে বেরিয়ে আসে। এলাকার লোকজন দেখেন, শিশুদের শরীরের অনেক জায়গায় ফোসকা পড়েছে। তাদের উদ্ধার করে বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

অ্যাসিডে জখম হয়েছে দিব্যেন্দু পড়িয়া, রাজ প্রামাণিক, সোনম খিলার ও রাজ পড়িয়া। সোনমের মা সুস্মিতা বলেন, “স্কুলেই ছিল ওই অ্যাসিডের বোতল। সেটাই জল ভেবে অন্য একটি বাচ্চা এদের কয়েক জনের গায়ে ছিটিয়ে দেয়। শিক্ষকদের উচিত ছিল, স্কুল খোলার আগে ভাল করে পরিষ্কার করে নেওয়া।” স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল মণ্ডল বলেন, “ভোটের পরে ক্লাসরুমগুলি ভাল করে সাফ করেই স্কুল শুরু হয়েছে। কিন্তু ক্লাসঘরের বাইরে কোথাও ভোটকর্মীরা অ্যাসিডের বোতল ফেলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই বাচ্চারা তা তুলে এনে খেলতে গিয়ে এই বিপত্তি। আমরা জখম শিশুদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিচ্ছি। চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করছি।”

আরও পড়ুন
Advertisement