ভাঙড়ে অশান্তির ছবি। — ফাইল চিত্র।
সংশোধিত ওয়াকফ আইন ঘিরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে বিক্ষোভ এবং ভাঙচুরের ঘটনায় এ বার গ্রেফতার হলেন আইএসএফ নেতা রাহুল মোল্লা। শনিবার বিকেলে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে গত সোমবার বাসন্তী হাইওয়েতে পুলিশের উপর হামলা, ভাঙচুর এবং দীর্ঘ ক্ষণ রাস্তা অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার আইএসএফের প্রাণগঞ্জের অঞ্চল সভাপতি রাহুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভাঙড় থানার পুলিশের সহায়তায় ঘটকপুকুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে হাতিশালা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গত সোমবার বৈরামপুরে রাস্তা অবরোধের পাশাপাশি পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইট ছোড়া এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন রাহুল। ঘটনার পর থেকেই গা-ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। শনিবার বিকেলে ঘটকপুকুর এলাকা থেকে রাহুলকে গ্রেফতার করে লালবাজারে পাঠিয়েছে হাতিশালা থানার পুলিশ। তাঁর সঙ্গে আরও কে বা কারা ওই ঘটনায় জড়িত ছিলেন, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
ভাঙড়ে বিক্ষোভ এবং ভাঙচুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদেরও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশকে খুনের চেষ্টা, অবৈধ জমায়েত, সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। সংশোধিত ওয়াকফ আইন বাতিলের দাবিতে গত সোমবার কলকাতার রামলীলা ময়দানে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ওই কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে ভাঙড়ের শোনপুরে বাসন্তী হাইওয়ের উপর বৈরামপুরের কাছে পুলিশ তাঁদের গাড়ি আটকায়। এলাকা জুড়ে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিভিন্ন মহলে অভিযোগ, এক পর্যায়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধেরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, পুলিশের অন্তত পাঁচটি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ইট মেরে ভাঙা হয় কলকাতা পুলিশের গাড়ির কাচ। ভাঙচুর চালানো হয় প্রিজ়ন ভ্যানেও। সোমবার দুপুরের ওই ঘটনার পর থেকেই পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে ভাঙড়ের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। অন্য দিকে, শোনপুরের অশান্তির ঘটনা নিয়ে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির নামে উত্তর কাশীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।