TMC Internal Conflict

সাংসদের জবাবে ফের কটাক্ষ বিধায়কের, তুঙ্গে তরজা

ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবকে বাড়ির সামনে গুলি করে খুনের ঘটনায় শনিবারই সাংসদ অর্জুনকে নিশানা করেছিলেন সোমনাথ। অর্জুন তার জবাবে মুখ খুলেছেন রবিবার।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:২৬
An image of Arjun Singh

ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ। —ফাইল চিত্র।

শিল্পাঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ও বিধায়কের তরজা আরও চড়ল। জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের তোলা অভিযোগের জবাবে এ বার তাঁকে পাল্টা বিঁধলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ।

Advertisement

ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবকে বাড়ির সামনে গুলি করে খুনের ঘটনায় শনিবারই সাংসদ অর্জুনকে নিশানা করেছিলেন সোমনাথ। অর্জুন তার জবাবে মুখ খুলেছেন রবিবার। একটি মিছিলের পরে ভাটপাড়া মোড়ে সভা করতে গিয়ে নাম না-করেই জগদ্দলের বিধায়কের মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে অর্জুন বলেছেন, ‘‘যিনি খুনের ঘটনায় আমার নাম নিচ্ছেন, তিনিই আবার বিকাশ বসু (দু’দশক আগে যুব তৃণমূলের নেতা) খুনের ঘটনায় এক অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে ঘোরেন, আর এক জন দুষ্কৃতীকে দলের ‘অ্যাসেট’ বলে উল্লেখ করছেন। পরিবার নিয়ে আঙুল তোলা হচ্ছে। আমার এক ভাইপোর কথা বলা হচ্ছে। আমার এক ভাইপো তো ওঁর সঙ্গেও আছে। উনি ভুলে গিয়েছেন, ওঁর মায়ের চাকরি হয়েছিল আমার বাবার দৌলতে!’’ তাঁর আরও কটাক্ষ, ‘‘নৈহাটিতে একটি ওষুধের দোকান আছে। সেখান থেকে পোলট্রির মুরগিকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছে। আর মুরগি কোঁকর কোঁ করছে! তাতে কারও কিছু যায় আসে না!’’ সোমনাথের আবার পাল্টা বক্তব্য, ‘‘শুনেছি নাম না করে আমাকে মুরগি বলেছেন সাংসদ। আমার নাম বলুন সাহস থাকলে! আমার মা নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছেন। খুনের ঘটনায় পুলিশি তদন্তে উঠে আসা তথ্য, যা জেনেছি, সেটাই বলেছি।’’

সাংসদ অর্জুন এ দিন ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের সংগঠন গড়ার কথা বলতে গিয়ে নিজের ভূমিকার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। বিজেপি থেকে যে তাঁকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই তৃণমূলে ফিরতে বলেছিলেন, সেই দাবিও করেছেন। সাংসদের মন্তব্য, ‘‘কিছু ছিঁচকে চোরকে দলীয় পতাকার তলায় এনে দলের মর্যাদা নষ্ট করছেন যাঁরা, তাঁরা ভুলে গিয়েছেন, আমার পতাকা লাগে না! মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে আমাকে পাশে পাচ্ছেন। আমাকে এখানকার মানুষ চেনেন, জানেন।’’ বিধায়ক সোমনাথ এ দিনই পাল্টা কটাক্ষ করেছেন, ‘‘উনি ডিভোর্সি নেতা! সংসার ভেঙে অন্যের ঘর করতে গিয়েছিলেন। সেখানে হালে পানি না পেয়ে ফিরে এসেছেন। এখন ওঁকে কে আগের মতো মানবে!’’

দলের সাংসদ ও বিধায়কের মধ্যে এমন বিবাদ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘‘এত বড় দল, এত বড় একটা পরিবার। স্থানীয় ভাবে অনেক সময় কিছু সমস্যা থাকে। জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি দেখবেন।’’

আরও পড়ুন
Advertisement