Compensation of Fishermen

ক্ষতিপূরণ মেলেনি, কোনও রকমে চলছে সংসার

২০২২ সালের জুন মাসে ট্রলার দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হন কাকদ্বীপের অক্ষয়নগরের বাসিন্দা কালীপদ দাস। এফবি সত্যনারায়ণ নামে একটি ট্রলারে মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন।

সমরেশ মণ্ডল
শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:০৬
সুন্দরবনের নদীতে চলছে মিন ধরা। গোসাবার শম্ভুনগর এলাকার হানা নদীতে।

সুন্দরবনের নদীতে চলছে মিন ধরা। গোসাবার শম্ভুনগর এলাকার হানা নদীতে। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা।

মাছ ধরতে বেরিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে বেশ কিছু ট্রলার। কাকদ্বীপ মহকুমার বিভিন্ন এলাকার একাধিক মৎস্যজীবী নিখোঁজ হয়েছেন। মৃত্যুও হয়েছে অনেকের।

২০২৩ সালে সেপ্টেম্বরে ট্রলার দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হন অক্ষয়নগরের রিফিউজি কলোনির বাসিন্দা বাপি দাস। বাপির তেরো বছরের মেয়ে পায়েল সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। সতেরো বছরের এক ছেলে রয়েছে। স্ত্রী নিপু বলেন, “দুর্ঘটনার পরে অনেকের কাছ থেকেই অনেক আশ্বাস মিলেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে ভাবে কিছু মেলেনি। এখন লোকের বাড়িতে কাজ করে কোনওমতে সংসার চলছে।”

২০২২ সালের জুন মাসে ট্রলার দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হন কাকদ্বীপের অক্ষয়নগরের বাসিন্দা কালীপদ দাস। এফবি সত্যনারায়ণ নামে একটি ট্রলারে মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন। ট্রলার ডুবে গেলে কালীপদের খোঁজ মেলেনি। তাঁর চোদ্দো বছরের এক মেয়ে ও পাঁচ বছরের ছেলে রয়েছে। স্ত্রী চম্পা বলেন, “ছেলেমেয়েরা এখনও বাবার জন্য অপেক্ষা করে। দুর্ঘটনার পরে সে ভাবে কোনও সাহায্য মেলেনি।”

প্রশাসন সূত্রের খবর, মৎস্যজীবীদের ক্ষেত্রে দেহ উদ্ধার হলে ২ লক্ষ টাকা করে সরকারি সাহায্য পাওয়ার কথা। তবে অনেক মৃত মৎস্যজীবীর পরিবারের অভিযোগ, তা মিলছে না। নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের ক্ষেত্রে সাত বছর পরে ক্ষতিপূরণ মিলতে পারে।

পশ্চিমবঙ্গ ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, “যাঁরা ক্ষতিপূরণ পাননি, সেই সমস্ত মৃত ও নিখোঁজ মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্যদের প্রশাসনের কাছে আবেদন করতে বলা হয়েছে।”

রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী বলেন, “মৃত ও নিখোঁজ সমস্ত মৎস্যজীবীদের জন্য আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা আছে। কেউ যদি ক্ষতিপূরণ না পেয়ে থাকেন, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে পেয়ে যাবেন। নিখোঁজদের জন্য একটু সময় লাগবে। আমরা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মাধ্যমে অর্থ সাহায্য করব।”

আরও পড়ুন