Habra State General Hospital

‘মিষ্টি খাওয়া’র টাকা চেয়ে আটকে রাখার অভিযোগ

রিয়ার স্বামী রাজা জানান, স্ত্রীকে আনতে শুক্রবার হাসপাতালের দোতলার প্রসূতি বিভাগে যান। আয়া তাঁর কাছে মিষ্টি খাওয়ার জন্য ৩০০ টাকা দাবি করেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
হাবড়া শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:১০
হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল।

হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।

সরকারি হাসপাতালেও আয়া দৌরাত্ম্য! মিষ্টি খাওয়ার ১০০ টাকা নিয়ে দর কষাকষিতে ছুটি পেয়েও বাড়ি যেতে বহুক্ষণ দেরি হল এক প্রসূতি ও তাঁর সন্তানের।

Advertisement

হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে শুক্রবার সকালে ছুটি পেয়েছিলেন এক প্রসূতি। সদ্য সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। আয়াকে মিষ্টি খেতে ২০০ টাকা দিয়েছিল দিনমজুর পরিবারটি। তাতে সন্তুষ্ট হননি ‘আয়া মাসি।’ অভিযোগ, আরও টাকা চাওয়া হয়। অনেক দর কষাকষির পরে আরও ১০০ টাকা হাতে ধরিয়ে ‘মুক্তি’ পান তাঁরা।

প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ১৮ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মছলন্দপুরের বাসিন্দা রিয়া পাল। বুধবার সকালে সন্তান প্রসব করেন। শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়।

রিয়ার স্বামী রাজা জানান, স্ত্রীকে আনতে শুক্রবার হাসপাতালের দোতলার প্রসূতি বিভাগে যান। আয়া তাঁর কাছে মিষ্টি খাওয়ার জন্য ৩০০ টাকা দাবি করেন। রাজা জানান, ২০০ টাকা দিতে পারবেন। তাতে খুশি হননি আয়া। স্ত্রীর ব্যাগ রাজার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, বাচ্চা ও মাকে ছাড়া হবে না বলে হুমকি দেন ওই আয়া। শেষ পর্যন্ত ৩০০ টাকাই দিতে হয়।

হাসপাতালের সুপার বিবেকানন্দ বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি মন্তব্য করতে চাননি। রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্য তথা হাবড়ার পুরপ্রধান নারায়ণচন্দ্র সাহা বলেন, ‘‘যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে, তা হলে অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’’

সরকারি হাসপাতালে বেসরকারি আয়া থাকার কথা নয়। অথচ, রাজ্যের বেশিরভাগ হাসপাতালেই নানা সময়ে বহিরাগত এই আয়াদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ ওঠে হামেশাই। হাবড়া হাসপাতালে এমন অভিযোগ আগেও উঠেছে বলে জানালেন স্থানীয় অনেকে।

আরও পড়ুন
Advertisement