Protests

শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছেই, বন্ধ হল আরও এক চটকল

নোটিস দেখে ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা প্ল্যাকার্ড হাতে ধর্নায় বসেন। গোলমালের আশঙ্কায় পুলিশ আসে। পরিস্থিতির জন্য কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি শ্রমিক সংগঠন এবং শ্রম দফতরের কর্তাদের দুষছেন শ্রমিকেরা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
ভদ্রেশ্বর শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৪ ০৭:৫৭
ধর্নায় শ্রমিকেরা। ভদ্রেশ্বরের নর্থ শ্যামনগর জুট মিলের সামনে।

ধর্নায় শ্রমিকেরা। ভদ্রেশ্বরের নর্থ শ্যামনগর জুট মিলের সামনে। —নিজস্ব চিত্র।

অচলাবস্থা চলছিলই। লোকসভা ভোটের মুখে এ বার বন্ধই হয়ে গেল ভদ্রেশ্বরের নর্থ শ্যামনগর চটকল। শ্রমিক বিক্ষোভের কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার সকালে কারখানার গেটে কাজ বন্ধের নোটিস ঝোলান কর্তৃপক্ষ। ফলে সমস্যা মেটার পরিবর্তে আরও বাড়ল বলেই সংশ্লিষ্ট নানা মহলের অভিমত।

Advertisement

নোটিস দেখে ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা প্ল্যাকার্ড হাতে ধর্নায় বসেন। গোলমালের আশঙ্কায় পুলিশ আসে। পরিস্থিতির জন্য কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি শ্রমিক সংগঠন এবং শ্রম দফতরের কর্তাদের দুষছেন শ্রমিকেরা। চন্দননগর শ্রম দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মিল বন্ধ থাকুক, কখনওই কাম্য নয়। দ্রুত সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে মিল খোলার চেষ্টা হবে।’’ উল্লেখ্য, এই চটকলে কাজ করেন প্রায় তিন হাজার শ্রমিক।

নর্থ শ্যামনগর চটকলে শ্রমিক এবং মালিকপক্ষের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আধুনিক যন্ত্র বসানো ঘিরে। শ্রমিকদের অভিযোগ, ইচ্ছে মতো কাজের বোঝা চাপানো হচ্ছিল। কারখানা সূত্রের খবর, শ্রমিক অসন্তোষের জেরে গত ১০ মার্চ থেকে এক সপ্তাহ উৎপাদন বন্ধ ছিল। শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের আলোচনার পরে শনিবার উৎপাদন চালু হয়। এর মধ্যেই কর্তৃপক্ষ রবিবার ১৫ জন শ্রমিককে বসিয়ে দেওয়ায় আবার পরিস্থিতি তেতে ওঠে। কাজ বন্ধ রেখে সোমবার দিনভর অবস্থান করেন শ্রমিকেরা। তার পরেই মিল বন্ধের নোটিস।

শ্রমিকদের অভিযোগ, ত্রিপাক্ষিক আলোচনায় শ্রম দফতর এবং শ্রমিক সংগঠনের লোকেরা কারখানা কর্তৃপক্ষের স্বার্থ দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এক শ্রমিকের ক্ষোভ, ‘‘চুক্তি না মেনে আমাদের উপরে কাজের বোঝা চাপানো হয়েছে। ইচ্ছে মতো অন্য বিভাগে বদলি করা হচ্ছে।’’

এ দিনও মিল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে নোটিসে তাঁরা জানিয়েছেন, ‘শ্রমিকদের বিক্ষোভ এবং অবৈধ ভাবে কাজ বন্ধের’ কারণেই এই সিদ্ধান্ত।

আরও পড়ুন
Advertisement