খোলা আকাশের নীচে চলছে পড়াশোনা। নিজস্ব চিত্র sudip ghosh
দীর্ঘ দিন ধরে অর্ধনির্মিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভবন। ফলে রাস্তার উপরেই চলছে কেন্দ্রের কাজকর্ম। স্থানীয় এক বাসিন্দার গোয়ালঘরের সামনে এক ফালি ফাঁকা জায়গায় চলছে রান্না। এমনই পরিস্থিতি দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা ১ পঞ্চায়েতের পশ্চিম চ্যাংদানা ৩৩৬ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, প্রায় চোদ্বদো ছর ধরে এ ভাবেই রাস্তার উপরে চলছে কেন্দ্রটি। বর্তমানে শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা মিলিয়ে প্রায় ৬৩ জন নিয়মিত এই কেন্দ্রে আসেন। বাচ্চারা রাস্তার উপরে বসেই পড়াশোনা করে। ওই পথে মাঝে মধ্যেই গাড়িও চলাচল করে। গাড়ি এলে পড়তে পড়তেই উঠে নিরাপদ দূরত্বে সরে আসে সকলে। গাড়ি চলে গেলে আবার শুরু হয় পড়াশোনা!
বর্ষায় স্থানীয় এক জনের বাড়ির বারান্দায় পঠন-পাঠন চালাতে হয়। পাশেই এক ব্যক্তির গোয়ালঘরের বাইরে রান্না হয়। খাবারও দেওয়া হয় সেখান থেকেই। অভিভাবকদের একাংশের দাবি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্নার জন্য প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুরা। অভিযোগ, বার বার আবেদন-নিবেদনের পরে প্রশাসনের তরফে কিছুটা দূরে ভবন তৈরির কাজ শুরু হলেও দীর্ঘ দিন তা নির্মীয়মাণ অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা অভিভাবক পরভিনা বিবি, তাহমিনা বিবিরা বলেন, “পাশেই বিশাল পুকুর। রাস্তা দিয়ে গাড়ি এলে সকলকে সরে যেতে হয়। যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বাচ্চাদের নিয়ে আতঙ্কে থাকি।”
ওই কেন্দ্রের শিক্ষিকা প্রতিমা মাহালি বলেন, “পাশেই নতুন ভবন তৈরি হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ভবনটি তৈরি হলে ওখানেই কেন্দ্রের কাজকর্ম হবে।”
দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ এনামুল মোল্লা জানালেন, “জমি পাওয়ার পরে ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। পুরো টাকা না পাওয়ায় কাজ শেষ হয়নি। ঠিকাদারকে বলব, দ্রুত কাজ শেষ করতে। আশা করছি, কিছু দিনের মধ্যেই নতুন ভবনে পঠন-পাঠন শুরু হবে।”