Mamata Banerjee

মমতার ধমকের পর মঞ্চে এল শীতপোশাক, হিঙ্গলগঞ্জে বস্ত্র বিতরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

বিডিও এবং অন্যান্য সরকারি আধিকারিকদের বকুনি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন ‘‘দেখুন, কত কষ্ট করে এখানে আসব বলে তিন দিন ধরে কম্বল, চাদর এবং সোয়েটার কিনেছি। আর এসে দেখছি নেই!’’

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
হিঙ্গলগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২২ ১৩:৫১
অবশেষে বস্ত্র বিতরণ।

অবশেষে বস্ত্র বিতরণ। ছবি: ফেসবুক।

মুখ্যমন্ত্রীর বকুনি খেয়ে দৌড়লেন সরকারি কর্মীরা। কিছু ক্ষণের মধ্যে জোগাড় হল শীতবস্ত্র। অবশেষে ঘোষণা মতো উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে পোশাক বিতরণ করলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সরকারি আধিকারিকদের উপর রাগ করে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান মঞ্চে বসেই রইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত জনতাকে হাত নেড়ে মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বান, ‘‘আপনারা বসে থাকুন। আমিও বসলাম।’’

Advertisement

মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী। ভাল মেজাজেই বক্তৃতা করছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন বনদেবীর পুজো উপলক্ষে ১৫ হাজার শীতবস্ত্র প্রদান করবেন। কিন্তু সেই শীতের পোশাক চাইতেই মঞ্চে উপস্থিত সরকারি আধিকারিকরা একে অপরের মুখ চাওয়াচায়ি করতে থাকেন। কেই এক জন বলেন, ‘‘বিডিও অফিসে আছে।’’ এটা শুনেই রেগে যান মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি আধিকারিকদের তীব্র ভর্ৎসনা করেন।মুখ্যমন্ত্রী বলতে থাকেন, ‘‘দেখুন, কত কষ্ট করে এখানে আসব বলে তিন দিন ধরে কম্বল, চাদর এবং সোয়েটার কিনেছি। আর এসে দেখছি নেই! বলুন বিডিওকে নিয়ে আসতে আমি বসব।’’ তাঁর সংযুক্তি, ‘‘জিনিস পাঠালে সেটা না পৌঁছলে আমার গা জ্বালা করে।’’

এর পর সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশের সুরে মমতা বলেন, ‘‘নিয়ে এসো এখানে। আমি বলছি। কোথায় জিনিসপত্র? কোথায়?’’ মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি আগেই বলেছেন, সবার হাতে হাতে এই পোশাক বিতরণ করবেন। প্রশ্ন করেন, কেন বিডিও অফিসে ওই সব পোশাক পড়ে থাকল। উষ্মার সুরে মমতা বলেন, ‘‘আমি আর মিটিং করব কী! আমি তো ওটাই দিতে এসেছিলাম। শীতকাল, যদি তোমরা ঠিক মতো কাজই না করেন…!’’ এর পর উপস্থিত জনতাকে বসতে বলে নিজেও বসে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, পোশাক না আসা পর্যন্ত ওখানেই বসে থাকবেন।উপস্থিত জনতাকেও অপেক্ষা করতে অনুরোধ করেন।

এর পর কয়েক মিনিট মঞ্চে বসেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পর কিছু শীতবস্ত্র আসে। তিনি নিজের হাতে তা তুলে দেন কয়েক জন গ্রামবাসীকে। জানান, পরে বাকি পোশাক বিডিও অফিস থেকে সবার কাছে পৌঁছে যাবে। আর এ নিয়ে তিনি খবরাখবর রাখবেন।

আরও পড়ুন
Advertisement