gangasagar

স্ত্রীকে গঙ্গাসাগরে ছেড়ে গেলেন স্বামী, পরে উদ্ধার মহিলা

রাজেন্দ্র রাজবংশী নামে ওই ব্যক্তির স্ত্রীর নাম কারি দেবী। স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পরে কারি দেবী রবিবার রাতে নামখানায় পৌঁছন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
গঙ্গাসাগর শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:০২

—ফাইল চিত্র।

দ্বিতীয় বিয়ের আশায় রবিবার সন্ধ্যায় গঙ্গাসাগরের মেলায় প্রথম স্ত্রীকে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিহারের নওয়াদার এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে। রাজেন্দ্র রাজবংশী নামে ওই ব্যক্তির স্ত্রীর নাম কারি দেবী। স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পরে কারি দেবী রবিবার রাতে নামখানায় পৌঁছন। সেখানে তিনি নামখানা সেতু থেকে নদীতে লাফ মারতে গেলে স্থানীয় গাড়িচালকেরা তাঁকে ধরে ফেলেন। হ্যাম রেডিয়ো মারফত সেই খবর পেয়ে সোমবার রাতে গঙ্গাসাগরে পৌঁছন কারি দেবীর ভাই। মহিলাকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। ক্ষুব্ধ কারি দেবীর অভিযোগ, ‘‘আমি গঙ্গাসাগরে আসতে চাইনি। এখন বুঝতে পারছি, কেন জোর করে নিয়ে এসেছে।’’

Advertisement

এর পাশাপাশিই গঙ্গাসাগরে রয়েছে নানা বর্ণময় মানুষের ভিড়। এই নিয়ে পর পর আট বছর। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির টোটোচালক শেখ শাহ আলম কাঁথির পেটুয়াঘাট থেকে নৌকায় এসেছেন গঙ্গাসাগরে। সোমবার পুণ্য স্নান সেরেছেন তিনি। মঙ্গলবার পাটাতন বেয়ে নৌকায় ওঠার আগে আলম জানালেন, পরের বছর আবার আসবেন গঙ্গাসাগরের এই মিলনক্ষেত্রে।

সমুদ্রতটে লোহার পাঞ্জা দিয়ে বালি সরিয়ে পুণ্যার্থীদের সাগরে ছুড়ে দেওয়া খুচরো পয়সা
খুঁজছিলেন গঙ্গাসাগরের বাসিন্দা সন্তোষ দাস। ৫০ বছর ধরে এই কাজ করছেন তিনি। গত বছর ৩০০ টাকা পেয়েছিলেন। অন্যের জমিতে চাষ করেন সন্তোষ। বললেন,
‘‘বাড়তি রোজগারের আশায় এই কাজ করি।’’ স্থানীয় গৌরীরানি দাস আগে সাগরে মাছ ধরতেন। তিনি বলেন, ‘‘বয়স হয়ে যাওয়ায় এখন মাছ ধরতে পারি না। তিন-চার বছর ধরে পয়সা কুড়োনোর কাজ করছি। কয়েক বছর আগে একটি সোনার আংটি পেয়েছিলাম।’’

এ দিন সমুদ্রতটে সাফাই অভিযানে অংশ নেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসুরা। অরূপের দাবি, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মেলায় প্রায় এক কোটি ১০ লক্ষ পুণ্যার্থী এসেছেন। নদিয়ার কৃষ্ণনগরের সর্বানন্দ দাস এ দিন সাগরে অসুস্থ হয়ে পড়লে হেলিকপ্টারে তাঁকে কলকাতার এম আর বাঙুর হাসপাতালে আনা হয়। এখনও পর্যন্ত মোট ন’জন অসুস্থ পুণ্যার্থীকে এ ভাবে উড়িয়ে আনা হয়েছে কলকাতায়।

আরও পড়ুন
Advertisement