Viral Video

‘জমি-গাড়ি দিলাম, তাও খুন করে নীল ড্রামে ভরার হুমকি দিচ্ছে’! ভিডিয়ো নিয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ স্বামী

পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ওই সরকারি কর্মীর নাম ধর্মেন্দ্র কুশওয়াহা। বর্তমানে গোন্ডার জল নিগম বিভাগে কর্মরত তিনি। ধর্মেন্দ্রের অভিযোগ, প্রেমিক নীরজ মৌর্যের সঙ্গে মিলে তাঁকে খুনের হুমকি দিয়েছেন স্ত্রী মায়া মৌর্য।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৫ ১২:০৪
Wife allegedly gives threat to husband in Uttar Pradesh, Video goes viral

ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।

বেশি কথা বললে মেরঠের মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতের মতো অবস্থা হবে। দেহ টুকরো টুকরো করে ভরে দেওয়া হবে নীল ড্রামে। স্ত্রীর বিরুদ্ধে এ ভাবেই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন এক সরকারি কর্মী। পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন তাঁর স্ত্রী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গোন্ডা জেলায়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়েছে সে রাজ্য জুড়ে। ওই ঘটনা সংক্রান্ত একটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি (যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)

Advertisement


সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ওই সরকারি কর্মীর নাম ধর্মেন্দ্র কুশওয়াহা। গোন্ডার জল নিগম বিভাগে কর্মরত তিনি। ধর্মেন্দ্রের অভিযোগ, প্রেমিক নীরজ মৌর্যের সঙ্গে মিলে তাঁকে খুনের হুমকি দিয়েছেন স্ত্রী মায়া মৌর্য। মেরঠের মার্চেন্ট নেভি অফিসারকে যেমন তাঁর স্ত্রী মুস্কান রস্তোগী এবং তাঁর প্রেমিক সাহিল শুক্ল মিলে মেরে নীল ড্রামে ভরেছিলেন, তাঁরও একই রকম পরিণতি হবে বলে শাসিয়েছেন! ইঞ্জিনিয়ার স্বামীকে খুনের হুমকি দেওয়ার সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে। শনিবার ধর্মেন্দ্র এবং তাঁর স্ত্রী মায়া একে অপরের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ধর্মেন্দ্র পুলিশকে জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে বাস্তি জেলার বাসিন্দা মায়ার সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয় তাঁর। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের মেয়ের জন্মের পর আমি স্ত্রীর নামে কিস্তিতে তিনটি গাড়ি কিনেছিলাম। ২০২২ সালে স্ত্রীর নামে জমিও কিনেছিলাম। সেই জমিতে স্ত্রীর দূরসম্পর্কের আত্মীয় নীরজ মৌর্যকে বাড়ি নির্মাণের চুক্তি দিয়েছিলাম।’’ ধর্মেন্দ্রের দাবি, সেই সময় থেকেই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে মায়া এবং নীরজের। করোনা অতিমারির সময়ে নীরজের স্ত্রীর মৃত্যু হলে দু’জনের সম্পর্ক আরও গভীর হয়।

ধর্মেন্দ্রর দাবি, ২০২৪ সালের ৭ জুলাই মায়া এবং নীরজকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন তিনি। তার প্রতিবাদ করলে ধর্মেন্দ্রকেই মারধর করে মায়া ঘর থেকে বেরিয়ে যান। এর পর অগস্ট মাসে মায়া প্রেমিককে নিয়ে আবার বাড়ি ফিরে আসেন। বাড়ির তালা ভেঙে জোর করে ভিতরে ঢোকেন ১৫ গ্রাম সোনার চেন এবং নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান বলেও অভিযোগ। সেই নিয়েও অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। এর পর সব ঠিকই ছিল। কিন্তু গত ২৯ মার্চ স্ত্রী এবং স্ত্রীর প্রেমিক এসে তাঁকে আবার হুমকি দেন বলে ধর্মেন্দ্র অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ, তাঁকে এবং তাঁর মাকে মারধর করা হয়। মেরঠের মার্চেন্ট নেভি অফিসারের মতো পরিণতি করে দেওয়ার হুমকিও নাকি দেওয়া হয়।

যদিও স্বামীর করা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন মায়া। তাঁর দাবি, ধর্মেন্দ্র মিথ্যা অভিযোগ করছেন। পাল্টা স্বামীর বিরুদ্ধে হয়রানি এবং চার বার জোর করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁকে মেরে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও ধর্মেন্দ্র বিরুদ্ধে করেছেন মায়া। দু’পক্ষের অভিযোগ শুনে পুলিশ জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তবে অনেক দিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মামলা চলছে বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement
আরও পড়ুন