Pahalgam Terror Attack

‘পহেলগাঁও কাণ্ডের পরেও নৌকাবিহারের পরিকল্পনা বাদ দিইনি’, তরুণী পর্যটকের শিকারা ভ্রমণের ভিডিয়ো ভাইরাল

মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা হওয়ার পর তিনি ডাল লেকে নৌকাবিহারের পরিকল্পনা বাতিল করেননি। বরং সূর্যোদয়ের মনোরম দৃশ্যের সাক্ষী থাকবেন বলে শিকারা ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েছিলেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:১২

ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।

জঙ্গি হামলায় যখন কাশ্মীরের পহেলগাঁও রক্তাক্ত তখন শ্রীনগরে ছিলেন তরুণী। কাশ্মীর ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর সেখান থেকে ফিরে যাননি তিনি। শ্রীনগরেই ছিলেন তরুণী। এমনকি, সেই পরিস্থিতিতে শ্রীনগরের ডাল লেকে শিকারায় চেপে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। শিকারায় বসে ডাল লেকে ভাসতে ভাসতে সূর্যোদয়ের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার স্বপ্ন ছিল তাঁর। এমন পরিস্থিতির মাঝেও নৌকাবিহারের পরিকল্পনা বাতিল করেননি তিনি। বরং পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর শ্রীনগর কেমন রয়েছে তা জানিয়ে সমাজমাধ্যমের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন তরুণী (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)

Advertisement

‘বিনীতাচৈতন্য’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, শিকারায় চেপে শ্রীনগরের ডাল লেকে ঘুরছেন এক তরুণী। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন এক ব্যক্তিও। সেই তরুণীর নাম বিনীতা চৈতন্য। বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা তিনি। গৃহসজ্জানির্মাণের কাজের সঙ্গে যুক্ত বিনীতা। সমাজমাধ্যমেও ‘ইন্টেরিয়র ডিজ়াইনার’ হিসাবে নিজের পরিচয় দেন তিনি। বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে বিনীতা জানান যে, তিনি শ্রীনগরে ঘুরতে গিয়েছেন।

মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা হওয়ার পর তিনি ডাল লেকে নৌকাবিহারের পরিকল্পনা বাতিল করেননি। বরং সূর্যোদয়ের মনোরম দৃশ্যের সাক্ষী থাকবেন বলে শিকারা ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েছিলেন তিনি। কম সংখ্যক পর্যটক ছিলেন ডাল লেকে, এমনটাই দাবি তরুণীর। তবে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতার পর মন ভরে গিয়েছিল তরুণীর। শিকারায় বসে চা পান করেছিলেন তিনি। কেনাকাটি সারতেও ভোলেননি। ডাল লেকের সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দি করে সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেন বিনীতা।

ভিডিয়োটি পোস্ট করে কটাক্ষের শিকার হয়েছেন তিনি। এক জন লিখেছেন, ‘‘আপনি কী ভাবে এমন পরিস্থিতিতে ঘোরাঘুরি করছেন? আমি কিছুতেই পারতাম না। এত জন মারা গিয়েছে তা শুনেই আমার বুক ফেটে যাচ্ছে।’’ আবার এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘আপনি নিজের মতো আনন্দ করছেন তা ভাল। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তা পোস্ট করে সকলকে জানানোর খুব প্রয়োজন ছিল?’’

মঙ্গলবার দুপুরে কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার ওই পর্যটনকেন্দ্রের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলার ঘটনাটি ঘটে। সেনাকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, বৈসরন উপত্যকায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের একটি দলকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা পর্যটকদের উপর গুলি চালায়। এখনও পর্যন্ত সেই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই পর্যটক। মাত্র কয়েক মিনিটের তাণ্ডবের নেপথ্যে ছিল মাত্র চার থেকে ছ’জন জঙ্গি।

স্থানীয় সূত্রে খবর, জঙ্গিদের পরনে ছিল পুলিশের পোশাক। কেউ কেউ আবার সেনার পোশাক পরেও এসেছিল। সকলের হাতে ছিল একে-৪৭। জম্মু এবং কাশ্মীর পুলিশের দায়ের করা একটি এফআইআরে বলা হয়েছে, হামলাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত। বৈসরন উপত্যকার আশেপাশের পাইন বন থেকে সামরিক পোশাকে থাকা বন্দুকধারীরা বেরিয়ে এসে পর্যটকদের উপর নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। জঙ্গিরা প্রায় ৩০ মিনিট ঘটনাস্থলে ছিল। তার পর সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

Advertisement
আরও পড়ুন