Viral Video

হরিদ্বার থেকে গঙ্গাজল তুলে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নীচে রাখতেই চমক! কী দেখা গেল?

ইনস্টাগ্রামে নেটপ্রভাবী আশু ঘাইয়ের পোস্ট করা সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, হরিদ্বারের একটি ঘাট থেকে গঙ্গাজল সংগ্রহ করছেন তিনি। এর পর বাড়ি নিয়ে গিয়ে সেই জল অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নীচে রাখেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:১৭
Video of man placed Ganga Jal under a microscope goes viral

—প্রতীকী ছবি।

বিভিন্ন শহরের গঙ্গাপার নয়, গঙ্গার উৎসস্থল গোমুখও আবর্জনায় দিন দিন দূষিত হয়ে যাচ্ছে। সেখানে জমছে প্লাস্টিক-সহ বিভিন্ন বর্জ্য। গোমুখ থেকে নেমে গঙ্গা যে পথে দেশের বিভিন্ন জায়গা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, সেই সব জায়গার পরিস্থিতি আরও করুণ। এমনটা জানিয়ে বার বার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। বার বার জানিয়েছেন গঙ্গাদূষণ এবং তার কুফলের কথা। গঙ্গাজল পান করা উচিত কি না তা নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তবে এর মধ্যেই সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এমন একটি ভিডিয়ো, যা নেটাগরিকদের চমকে দিয়েছে। উস্কে দিয়েছে গঙ্গাজল ব্যবহার নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ককেও। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ভিডিয়োটি কোনও বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।

Advertisement

ইনস্টাগ্রামে নেটপ্রভাবী আশু ঘাইয়ের পোস্ট করা সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, হরিদ্বারের একটি ঘাট থেকে গঙ্গাজল সংগ্রহ করছেন তিনি। এর পর বাড়ি নিয়ে গিয়ে সেই জল অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নীচে রাখেন তিনি। কিন্তু কোনও ক্ষতিকর অণুজীব বা বিষাক্ত পদার্থ তিনি সেই জলে খুঁজে পাননি। এর পর তিনি সেই জল পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে নিয়ে যান। পরীক্ষাগারের বিশেষজ্ঞও তাঁকে নিশ্চিত করেন, অতি শক্তিশালী অণুবীক্ষণ যন্ত্রে পরীক্ষা করেও ওই জলে কোনও দূষিত পদার্থ তিনি খুঁজে পাননি। ওই পরীক্ষার রিপোর্টও প্রকাশ্যে আনেন আশু। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।

ভাইরাল সেই ভিডিয়ো এখনও পর্যন্ত প্রায় ছ’লক্ষ বার দেখা হয়েছে। লাইক-কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। তীব্র প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ। নেটাগরিকদের কেউ কেউ ভিডিয়োর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে গঙ্গার পবিত্রতার সমর্থনেও কথা বলতে দেখা গিয়েছে অনেককে।

হিন্দু সংস্কৃতি অনুযায়ী গঙ্গা নদীর মাহাত্ম্য অনেক। হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ গুহা থেকে গতিপথ শুরু হয় গঙ্গার। হিন্দুদের একাংশের বিশ্বাস, গঙ্গায় স্নান করলে বা এর জল পান করলে পাপস্খালন হয়। যদিও সম্প্রতি নদীর জলের মান নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। কেন্দ্রের তরফে গঙ্গাকে পরিষ্কার রাখার প্রকল্পও চালু হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement