viral video

ভূমিকম্পে কাঁপছে গোটা শহর! বিপদে অবিচলিত রইলেন সংবাদপাঠিকা, শান্ত হয়ে পড়লেন খবর, ভিডিয়ো ভাইরাল

বুধবার বিকেলে তুরস্কের ইস্তানবুলের কাছে সিলিভ্রিতে বেশ শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর ফলে শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। সংবাদমাধ্যম সিএনএনে তুরস্কের এক তরুণী উপস্থাপিকা সরাসরি সম্প্রচার করছিলেন বলে ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৫৪
news anchor reports tremors during broadcast

ছবি: সংগৃহীত।

বুধবার বিকেলে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬.২। কম্পনের আঘাতে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তুরস্কের ইস্তানবুল শহরের কাছে সিলিভ্রিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। এর পরই শহর জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভূমিকম্পের সময় এক তুর্কি সংবাদ উপস্থাপকের সরাসরি সম্প্রচারের একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে। ভিডিয়োটি পোস্ট করার পর তা ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও সেই ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।

Advertisement

বুধবার বিকেলে তুরস্কের ইস্তানবুলের কাছে সিলিভ্রিতে বেশ শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর ফলে শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। সংবাদমাধ্যম সিএনএনে তুরস্কের এক তরুণী উপস্থাপক সরাসরি সম্প্রচার করছিলেন বলে ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে। ভূমিকম্প অনুভব করার পরেও তিনি শান্ত ছিলেন এবং তাঁর সংবাদপাঠ চালিয়ে যান। ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, ঘরের জানালা-দরজাগুলি প্রচণ্ড ভাবে কাঁপতে শুরু করে। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে ভূমিকম্পের কম্পন টের পাওয়ার পর তিনি নিজের আসন ছেড়ে উঠে যাননি বা সংবাদপাঠ থামিয়ে দেননি। এক মুহূর্তের জন্য চোখেমুখে ভয় ফুটে উঠলেও খুব দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেন ওই উপস্থাপিকা। উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতেও তিনি শান্ত থাকার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যান। স্থানীয় ভাষায় দর্শকের উদ্দেশে বলেন, ‘‘এখন এখানে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হচ্ছে। ইস্তানবুলে তীব্র কম্পন অনুভূত হচ্ছে।’’

ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটি ‘নেক্সা টিভি’ নামের একটি সংবাদমাধ্যমে এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের নজর কেড়েছে। ভিডিয়োটি এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষেরও বেশি বার দেখা হয়েছে। উপস্থাপিকার সাহসের প্রশংসা করে অনেকেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এক জন লিখেছেন, ‘‘এই মহিলা সত্যিই খুব সাহসী।’’ অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে তিনি তাঁর কাজ চালিয়ে যান।’’

Advertisement
আরও পড়ুন