ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
১৭ বছর ধরে তিনি ভারতে ছিলেন। বর্তমানে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছিলেন ভারত থেকেই। এমনকি, ভারতে ভোটও দিয়েছেন তিনি! কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশের পর অটারী সীমান্ত দিয়ে ভারত ছেড়ে পাকিস্তান যাওয়ার পর এমনই মন্তব্য করলেন এক তরুণ পাক নাগরিক। আর তাঁর সেই মন্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যেই হইচই পড়ে গিয়েছে। উঠে আসতে শুরু করেছে নানাবিধ প্রশ্ন। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া ওই তরুণের একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরালও হয়েছে ভিডিয়োটি।
পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে ভারতে থাকা পাক নাগরিকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য সমস্ত স্বল্পমেয়াদি এবং বিশেষ ভিসা বাতিল করা হয়েছে। ফলে চিকিৎসা বা পড়াশোনার জন্য এসেছেন এমনকি, এ দেশে বিয়ে করেছেন এমন অনেক পাকিস্তানি নাগরিককে ভারত ছাড়তে হয়েছে। তাঁদেরই এক জন ওসামা। কেন্দ্রের নির্দেশের পর তিনিও ভারত ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। তার আগে অটারী সীমান্তে সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওসামা বলেন, ‘‘আমি বর্তমানে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করছি। পরীক্ষার পর চাকরির ইন্টারভিউ দিতে চেয়েছিলাম। আমি গত ১৭ বছর ধরে এখানেই আছি। আমি ভারত সরকারের কাছে আমাদের কিছু সময় দেওয়ার আবেদন করছি। আমি এখানে ভোট দিয়েছি, আমার রেশন কার্ড আছে। আমি এখানেই দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়াশোনা শেষ করেছি। আমি ওখানে (পাকিস্তানে) গিয়ে কী করব? ওখানে আমার ভবিষ্যৎ কী?’’
তবে ওসামার একটি নির্দিষ্ট মন্তব্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে নেটাগরিকদের। নেটাগরিকদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, ওসামা পাক নাগরিক হয়ে কী ভাবে ভারতে ভোট দিলেন? ভারতে ভোট দেওয়ার কি তাঁর আদৌ আধিকার আছে?
‘এসভিইইপি’ হল ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি, যার লক্ষ্য ভোটারদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং নির্বাচনে তাঁদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। সেই ‘এসভিইইপি’র ওয়েবসাইটে প্রবাসী ভারতীয়দের ভোটদানের প্রক্রিয়া উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু অন্য দেশের নাগরিকের ভারতে ভোটধিকার প্রয়োগের বিষয়ে কোনও কথা লেখা নেই। এমনকি, ‘ওভারসিজ় সিটিজেনশিপ অফ ইন্ডিয়া’ বা ওসিআই প্রকল্পের অধীনে থাকা ব্যক্তিদেরও ভারতে ভোট দেওয়ার অধিকার নেই। আর সে বিষয়গুলি উল্লেখ করেই ওসামার ওই ‘ভোট দেওয়া’ মন্তব্য নিয়ে নানাবিধ প্রশ্ন তুলেছেন নেটাগরিকেরা।