ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
শপিং মলের একটি দোকানে কেনাকাটা করতে ঢুকেছিলেন এক তরুণী। পেশায় নেটপ্রভাবী তিনি। দোকানে ঢুকে পেশার খাতিরে ভিডিয়ো করতে শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু দোকানের কর্মীদের আচরণ মনে ধরেনি তাঁর। তাই নিজের হাতে আইন নিয়ে কর্মীকে ‘শাস্তি’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন সেই তরুণী। ভিডিয়ো করে সেই ঘটনার উল্লেখও করলেন তিনি। সমাজমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘ওকফ্লিক্স’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, এক তরুণী ফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরা চালু করে একটি ভিডিয়ো করছেন। সেই ভি়ডিয়োয় তিনি জানিয়ছেন যে, তিনি এক শপিং মলের দোকানে ঢোকার পর তাঁকে দেখে সেই দোকানের এক তরুণী কর্মী খারাপ আচরণ করেছেন। নেটপ্রভাবীর দাবি, সেই কর্মী নাকি তাঁর আচরণ নকল করছিলেন। তা দেখেই মাথা গরম হয়ে যায় তরুণীর।
তরুণীর নাম শেখ মারইয়াম আলি। হায়দরাবাদের বাসিন্দা তিনি। সেখানকার একটি শপিং মলের দোকানে ঢুকে ভিডিয়ো করছিলেন তরুণী। তাঁর দাবি, দোকানের এক কর্মী তাঁর হাবভাব নকল করতে শুরু করেন। তা দেখে রেগে যান তরুণী নেটপ্রভাবী। তিনি দোকানের কর্মীকে তাঁর আচরণের জন্য শাস্তি দিতে চান। তাই গরম কফি এনে কর্মীর গায়ে ঢেলে দেন তিনি। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, দোকানের টেবিলের উপর কফি পড়ে রয়েছে। তরুণীর জামায়ও যে কফি পরে গিয়েছে তা জানান নেটপ্রভাবী।
ভিডিয়োয় তিনি বলেন, ‘‘বন্ধুরা, আমার খুবই খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে। এত বড় শপিং মলে এত বড় দোকান। কিন্তু সেখানকার কর্মীরা জানেন না যে কী ভাবে ক্রেতাদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতে হয়।’’ ভিডিয়োটি বানিয়ে দোকান থেকে বেরিয়েও যান তিনি। এই ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়ার পর কটাক্ষের শিকার হন তরুণী। এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘কর্মীদের সঙ্গে এমন আচরণ কেউ করে! খুবই বাজে ঘটনা। তরুণীর বিরুদ্ধে ওই কর্মীর অভিযোগ জানানো উচিত ছিল।’’